সাবেক মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের ইন্তেকাল
সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী, যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাত ৭টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা সন্তান ও অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।
মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালে রয়েছে। সাংসদ মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বাদ যোহর বনানীর ডিওএইচএসে মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে একই দিনে বাদ আসর, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ ১৯৪২ সালের ২১ মার্চ যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম সেকেন্দার মোহাম্মদ মোসলেম। মাতার নাম মরহুমা আমেনা খাতুন।
বাবা-মার আট সন্তানের মধ্যে তৃতীয় এবং ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ। তার বড় ভাই মোস্তফা আনোয়ার মোহাম্মদ একজন যুগ্মসচিব ছিলেন।
১৯৭৯ সালে মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের অল্টারনেট রিপ্রেজেন্টেটিভ (বিকল্প প্রতিনিধি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছরে তাকে ভারতে ডেপুটি হাই কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৮২ সালে তিনি মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসে মন্ত্রীদূত হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশ এবং সার্কের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে পর্যন্ত সেখানে থাকার পর ওই বছরের মে মাসে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ পান। ১৯৯৩ সালে তার প্রতিষ্ঠা করা ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দুতাবাসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৬-৯৯ সাল পর্যন্ত রাশিয়াতে এবং ১৯৯৯-২০০১ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ বাংলাদেশের একমাত্র কূটনীতিক যিনি ভারত ও মিয়নমারে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে রাষ্ট্রদুত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সালে তিনি চাকরি হতে অবসরে যান। অবসরের পর ২০০৮ সালে ৯ম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী দলের প্রার্থী আবু সাঈদকে ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী সভার একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভরিতে এবার ১,৯৯৪ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনবিস্তারিত পড়ুন
সংস্কার হলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত কমানো সম্ভব জানালো সিপিডি
মূল্য নির্ধারণ কাঠামোর সংস্কার হলে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১বিস্তারিত পড়ুন
রাজশাহীতে সমন্বয়ককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় এক সমন্বয়ককে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন