সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকি, কখন আবার স্বামী ও মায়ের নোংরা সম্পর্ক দেখতে হয়…
আমার বিয়ে হয়েছে ২০১২ সালে। বিয়ে হওয়ার এক মাসের মধ্যে আমি প্রেগন্যান্ট হই। আমার স্বামী চায়নি বাচ্চাটা হোক, কিন্তু আমার ইচ্ছার কাছে পরাজিত হয়েছে। আমার যখন বিয়ে হয়েছিল তখন আমি ইন্টারমিডিয়েট ১ম বর্ষে পড়ি। একটি স্বনামধন্য কলেজে পড়তাম, কিন্তু প্রেগন্যান্ট হবার কারণে কলেজটা অনিচ্ছাকৃত হলেও ছাড়তে হয়েছিল। এক বছর গ্যাপ দিয়ে পরের বছর নতুন করে অন্য একটা কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম আর এবছর পাস করেছি।
আমার স্বামী আমাকে ক্লাস ৫ থেকে ৭ পর্যন্ত প্রাইভেট পড়াতো আর সেই সুত্র ধরেই তার সাথে আমার পরিবারের পরিচয়। আমার মায়ের সাথে তার অন্তরঙ্গতা প্রথম থেকেই একটু বেশি ছিল। আমার মায়ের ইচ্ছাতেই বিয়েটা হয়েছিল আর আমি ওকে একটুও পছন্দ করতাম না। কিন্তু কিছু কারণে আমার পরিবার আমার জন্য কষ্ট পেয়েছিল আর একারণে আমি এই বিয়েটা করে তাদের একটু শান্তি দিতে চেয়েছিলাম। যদিও আমার মা ছাড়া আমার পরিবারের আর কেউ চায়নি আমার এত তাড়াতাড়ি বিয়ে হোক। কিন্তু তারা যখন জানতে পেরেছে আমি এ বিয়েতে রাজি তখন আর কেউ এতে অমত করেনি। ঘরোয়াভাবে আমাদের বিয়েটা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আমার আত্নীয়স্বজন অনেকেই আমার বিয়ের আগে থেকেই আমার স্বামীকে চিনত কারণ আমার শ্বশুর বাড়ি যশোর ছিল আর ঢাকায় ও নতুন ছিল। কোন আত্নীয়স্বজন না থাকায় আমার বাবা বলেছিল আমাদের বাসায় আসতে, যে কারণে ওর আমাদের বাসায় অবাধ যাতায়াত ছিল। আমার পরিবার ও আত্নীস্বজন সবাই ওকে অনেক পছন্দ করে আর আমিও ওকে ভালোবাসার চেষ্টা করলাম, আর অবশেষে পারলামও।
আমার মা আর স্বামীর সর্ম্পকটাকে আমি কখনও সন্দেহ করিনি। কিন্তু আমার বাচ্চা পেটে যখন ৬ মাস চলছে তখন একদিন রাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর দেখলাম আমার স্বামী আমার পাশে নেই। ভাবলাম টয়লেটে গেছে। উঠে এসে দেখলাম টয়লেটে নেই, আমার উঠে আসার শব্দ পেয়ে আমার স্বামী দেখলাম আমার মায়ের রুম থেকে বেরুচ্ছে। আমার বাবা সরকারি চাকরি করে বলে অন্য জায়গায় থাকে আর আমরা ভাই বোনেরা মায়ের সাথে ঢাকায় নিজেদের বাড়িতে থাকি আর আমার পড়ালেখার জন্য আমাকে বিয়ের সময় উঠিয়ে দেওয়া হয়নাই। বলা হয়েছিল ইন্টার পাশ করার পর উঠিয়ে দেওয়া হবে আর সেকারণে আমি বাবার বাড়ি থাকতাম আর আমার স্বামী সাপ্তাহিক ছুটিতে আসত।
দিনে দিনে আমি আরো বেশি করে এসবের সম্মুখীন হতে লাগলাম। ওরা আমার কাছে অনেকবার মাফ চেয়েছে, আমি মাফ করেছিলাম। কিন্তু ওরা আমায় বারবার ঠকিয়েছে। আর ওদের সর্ম্পক আরো গভীর হয়েছে। শেষবার আমি ওদের অনেক আন্তরিক অবস্থায় দেখেছি আর এতে আমি বুঝতে পেরেছি ওদের মধ্যে অনেক গভীর সর্ম্পক রয়েছে কিন্তু ওরা অস্বীকার করেছে।আমি আমার স্বামীকে মানা করেছি আমার মায়ের কাছে যেতে, কিন্তু এটা সে মানেনি বরং এ বিষয় নিয়ে অনেক ঝগড়া হয়েছে। আমার গায়েও হাত তুলেছে।
আমি ওকে ডির্ভোস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কিন্তু আমার মেয়ের দিকে তাকিয়ে পারিনি কারণ ও মেয়েকে অনেক ভালোবাসে আর মেয়েও বাবার জন্য পাগল। ওর বয়স এখন ২বছর। মরতেও চেয়েছিলাম কিন্তু সেটাও পারিনি মেয়ের জন্য। ওদের কথা আমি কাউকে জানাতে পারছিনা কারণ এতে আমার মা আর স্বামীর সম্মান নষ্ট হবে সাথে আমারও। আর আমি চাইনা এ বয়সে আমার বাবা আমার মাকে ঘর থেকে বের করে দিক। আমি ওদের সর্ম্পকটা মেনে নিয়েছি, এখন আমার স্বামী আমার সাথে ভাল ব্যবহার করে। কিন্তু আমি ভাল নেই, সবসময় ভয়ে অস্বস্তিতে থাকি কখন আবার ওদের এই নোংরা সর্ম্পক আমায় দেখতে হয়।
কী করব এখন আমি। দয়া করে জানাবেন।
উত্তরঃ
আপু, সত্যি কথা বলতে কি, আপনাকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা বা আপনাকে কিছু বলার ভাষা আমার নাই। তবে এটা বলতে পারি, কোনমতেই এই বিষয়টা আপনি মেনে নেবেন না। কোনভাবেই না। মেয়ের দিকে তাকিয়ে হোক আর বাবার দিকে তাকিয়ে হোক, এই নোংরামি যদি আপনি মেনে নেন তাহলে দুজনের জন্যই কেবল সর্বনাশই ডেকে আনবেন। সাথে সাথে আপনার নিজের জন্যও।
আইনের দৃষ্টিতে আপনি হয়তো এখনো লোকটার স্ত্রী, কিন্তু যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন তাহলে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি আর আপনার স্বামী নন। অন্তত আমি সেটাই জানি। তাই অহেতুক এই সম্পর্ক বয়ে বেড়ানোর কোন মানে নেই। অবস্থা দেখেশুনে মনে হচ্ছে আপনার মা ও স্বামীর পরকীয়া আপনাদের বিবাহের আগে থেকেই ছিল। আর মা নিজের নোংরা স্বার্থ হাসিলের জন্যই এই লোকটির সাথে আপনার বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। যাতে নির্বিঘ্নে নিজেদের কুকর্ম চালিয়ে যেতে পারেন।
আপু, যত দ্রত সম্ভব তাঁদের খারাপ কাজের প্রমাণ সংগ্রহ করুন এবং নিজের বাবাকে জানান। জীবনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভয় পেলে চলে না। আপনার মা তো প্রতারক অবশ্যই, বাবাকে এইসব না জানিয়ে আপনি বাবার সাথেও প্রতারণা করছেন বা বলা যায় বাবাকে ঠকাচ্ছেন। বাবার সম্পূর্ণ অধিকার আছে নিজের জীবনসঙ্গিনীর ব্যাপারে সমস্ত সত্য জানার। তারপর বাবা যা করতে চান তাঁকে করতে দিন। আরেকটি কথা আপু, এই জানোয়ার মত লোকটির কাছে আপনার কন্যা কি নিরাপদ? যে লোক একইসাথে মা ও মেয়ে উভয়ের সাথে যৌন সম্পর্ক করতে পারে, তার কাছে নিজের সন্তানই কি নিরাপদ? পৃথিবীতে নিজের পিতা কন্যাদের রেপ করার ঘটনা অসংখ্য আছে, অহরহ ঘটছে। আজ সে মেয়েকে আদর করছে, মেয়ে যখন যৌবনবতী হবে তখন সেই আদরের ধরণ বদলে যাবে না এই গ্যারান্টি আপনি কীভাবে পাচ্ছেন? তাই আপু, নিজের কন্যার নিরাপত্তার জন্য হলেও এই জানোয়ারের সংসর্গ ছাড়ুন।
সবচাইতে বড় কথা, আপনি একজন মানুষ। আপনারও অধিকার আছে একজন মানুষের ভালোবাসা পাবার। কোনভাবেই সেটা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না। এভাবে থাকতে থাকতে আপনি মানসিক রোগী হয়ে যাবে। মা ও স্বামী, উভয়কেই ত্যাগ করুন। তারপর কন্যাকে বুকে আগলে জীবনের পথে সামনে যান। আপনার বাবাকে সাহায্য করুন। এভাবে চলতে পারে না আপু। কিছুতেই পারে না। কিছুতেই না।
ভুলেও সমঝোতা করার চেষ্টা করবেন না। প্লিজ আপু। ধর্ম ও আইন, দুটোকেই আপনি পাশে পাবেন এই ক্ষেত্রে। সমাজকে তো অবশ্যই। আর হ্যাঁ, বাবা যদি মাকে বের করে দেন, মায়ের কিন্তু তাতে কোন ক্ষতি নেই। তিনি নিজের প্রেমিকের সাথে চলে যেতে পারবেন। তাই এমন নিকৃষ্ট মায়ের জন্য সহানুভূতি দেখাতে যাবেন না মোটেই। নাহলে একদিন এই ভুলের ফল আপনার কন্যাকে ভোগ করতে হবে। আপনার ছোট মেয়ে আপনার মা নিজের যৌন স্বার্থ হাসিলের কাজে লাগিয়েছে আপনাকে। এটা কোনভাবেই ক্ষমার যোগ্য অপরাধ নয়, কোন দিক থেকেই না। প্রিয়.কম
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন