তিনি বলিউডের ভাইজান সালমান খান। তার হাত ধরেই অনেক নায়িকার বলিউডে প্রবেশ হয়েছে। এদের মধ্যে আবার অনেকেই সালমানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।

কারো সম্পর্ক টিকেছে বেশিদিন, আবার কারও সম্পর্ক অচিরেই ভেঙে গিয়েছে। জেনে নেওয়া যাক সেইসব নায়িকাদের—

ক্যাটরিনা কাইফ

এই তালিকায় সবার ওপরে যার নাম রয়েছে, তিনি হলেন ক্যাটরিনা কাইফ। ব্রিটিশ এবং ভারতীয় বাবা-মায়ের সন্তান ক্যাটরিনা এ দেশে মায়ের সঙ্গে এসেছিলেন। আর এখানে এসে মডেলিং শুরু করে দেন। হিন্দি না জেনেও ভারতীয় মডেল দুনিয়ায় নাম লিখিয়ে ফেলেন ক্যাটরিনা। আর তারপরই পরিচয় হয় সালমানের সঙ্গে। তার হাত ধরেই ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া-তে সুযোগ পেয়ে যান ক্যাটরিনা। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্যাটরিনা-সালমান সম্পর্ক বলিউডপাড়ায় রস জোগালেও তাদের সম্পর্ক যেন গণমাধ্যমের খবরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়।

সোনাক্ষী সিনহা

সালমান খানের বিপরীতে দাবাং করেই বি-টাউনে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নেন শত্রুঘ্ন সিনহার কন্যা। শোনা যায়, দাবাং-এর আগে সালমানের বিপরীতে অভিনয় করতে গিয়ে ভাইজানের নির্দেশমতোই সমস্ত কিছু অনুসরণ করে চলেন সোনাক্ষী। এমনকি ‘ফ্যাট গার্ল’ সোনাক্ষীকে কী করে বলিউডে পাকা জায়গা করে দিতে হয়, সেই পন্থাও বাতলে দেন সালমান।

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ

আলাদিন সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে প্রথম অভিষেক হয়েছিল শ্রীলঙ্কান সুন্দরীর। এরপর হাউজফুল ২, মার্ডার ২ করেছেন। সাফল্যও পেয়েছেন। কিন্তু তার কেরিয়ার গ্রাফ ঊর্ধমুখী হতে শুরু করে সালমানের সঙ্গে কিক-এ অভিনয় করার পর থেকেই। এরপর ‘রয়’ এবং ‘ব্রাদার’-এ অনেক পরিপক্ব জ্যাকুলিনকে দেখতে পান দর্শক।

ডেইজি শা

বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্যের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন ডেইজি শা। এরপর সালমান খানই তাকে হাত ধরে বলিউডে প্রবেশ করান। সালমান খানের বিপরীতে জয় হো সিনেমায় দেখা যায় ডেইজিকে। ওই সিনেমার পর থেকেই ডেইজি বি-টাউনে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যান। এরপর ডেইজিকে দক্ষিণের বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি হেট স্টোরি থ্রি-তেও বেশ ভালো অভিনয় করেছেন ডেইজি।

জারিন খান

অনেকে বলেন, ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে ব্রেকআপের পর জারিন খানের সঙ্গে সালমান খানের বেশ ভালো সম্পর্ক হয়। ভীর-এ সালমানের বিপরীতে দেখা যায় জারিনকে। সালমানই জারিন খানকে বি-টাউনের অন্যতম নায়িকা করে তোলেন। এরপর হাউজফুল টু এবং হেট স্টোরি থ্রি-তেও দেখা যায় জারিনকে। সে যাই হোক না কেন, সালমানকে জারিনের জীবনের গডফাদার বলা হয়।

আথিয়া শেটটি

তারকা বাবার মেয়ে আথিয়াকে কিন্তু সালমান খানই প্রথম বি-টাউনে নিয়ে আসেন। সুরজ পাঞ্চলির বিপরীতে সালমানের হোম প্রোডাকশন হিরোতে অভনয় করেন আথিয়া। এ ক্ষেত্রে শুধু আথিয়া নন, আদিত্য পাঞ্চলি পুত্র সুরজ পাঞ্চলিকেও হাত ধরে বি-টাউনে নিয়ে আসেন সালমান।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

এই বিশ্ব সুন্দরী বলিউডে অভিনয় শুরু করেন অনেক আগে থেকেই। খেতাব জয় করার পর থেকেই বি-টাউনে নিজের পসার জমাতে শুরু করেন। কিন্তু হাম দিল দে চুকে সনাম ছবিটি ছিল তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এরপর থেকে সাল্লুর সঙ্গে সম্পর্কে যেভাবে জড়িয়েছেন তিনি, তাতে তার টিআরপি আরও ঊর্ধমুখী হতে শুরু কর। তেমনি সালমানের সঙ্গে ব্রেকআপও ঐশ্বরিয়াকে কিন্তু একেবারে লাইম লাইতে নিয়ে আসে।