সালমান ভাইজানের প্রেমে ফেরা!
হিন্দি ছবির দর্শকের দিওয়ালি এবার ভাইজানের ‘প্রেম’ অনুষঙ্গে৷ এই সপ্তাহেই মুক্তি পাচ্ছে সালমান খান অভিনীত ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’৷
হিংসা-হানাহানি, দ্বেষ-বিদ্বেষ ভুলে নিটোল প্রেমের অঙ্গীকারে ডুবে যাওয়ার অমোঘ বাণী৷ সেই কোনকালে রবীন্দ্রনাথ বুঝিয়ে গিয়েছিলেন আসমুদ্রহিমাচলকে৷ সেই প্রেমসাগরে গা ভাসানোর অবসরটুকু আজ যেন কোথাও হারিয়ে যাওয়ার মুখে৷ তাই বোধহয় কল্পনার ক্যানভাসে অধরা সেই প্রেমের অমূল্য রতন হাতড়ে বেড়ায় মানুষ৷
ইদানীং তিনি পাক্কা দাবাং স্টারের ভূমিকায়৷ পর্দায় হেলায় অশুভ শক্তিকে হারিয়ে শুভশক্তির জয়গাথা রচনা করেন৷ যদিও নায়ক হিসাবে তাঁর শুরুটা হয়েছিল ‘প্রেম’ দিয়েই, রাজশ্রীর ‘ম্যায়নে প্যার কেয়া’-র হাত ধরে৷ মাঝের লম্বা সময়টায় একটি-দু’টি ছবির কথা বাদ দিলে অ্যাকশনেই ছিলেন সালমান ভাই৷ শেষ মুক্ত ‘ভাইজান’ অবতার, যেখানে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এক হারিয়ে যাওয়া শিশুকে ঘরে ফিরিয়ে দেন তিনি৷ তারপরই তাঁর ‘প্রেম’-এর ফেরা৷ এই সপ্তাহেই প্রেম রতন খুঁজতে আসছেন তিনি৷ মুক্তি পাচ্ছে সালমান খান অভিনীত বহু প্রতীক্ষিত ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’৷ ট্রেড রিপোর্ট বলছে, বলিউডের এই মুহূর্তের ‘হায়েস্ট গ্রসিং’ তারকা তিনি৷ ফিরছেন তাঁর ‘প্রেম’ অবতারে৷ ফলে তামাম সালমান ভক্তরা টানটান অপেক্ষায়৷
২৭ বছর আগে যাঁর পরিচালনায় ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম (নায়কের চরিত্রে) ব্রেক পেয়েছিলেন, সেই সুরজ বরজাতিয়ার হাত ধরে আরও একবার৷ সেই ‘প্রেম’ নামেই৷ ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’-র সেই সুপারহিট কেমিস্ট্রি আবার রূপালি পর্দায় নিয়ে আসছেন সলমন-বরজাতিয়া জুটি৷ দীপাবলির পরের দিন মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’৷ উল্লেখযোগ্য, এই ছবি দিয়েই ৯ বছর পর পরিচালনায় ফিরে এসেছেন সুরজ বরজাতিয়া৷ ছবিতে সালমানের বিপরীতে সোনাম কাপুর৷ দু’জনের বয়সে বিস্তর ফারাক হলেও পরদায় দুর্দান্ত রোম্যান্স দেখাতে চলেছেন তাঁরা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ সেই প্রেমসুলভ চেহারায় টিজারেই প্রত্যাশার পারদ চড়িয়ে দিয়েছেন সালমান৷ ছবি নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী তিনি নিজেও৷ ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর বক্স অফিস কাঁপানো পারফরম্যান্সের রেশ কতটা ধরে রাখতে পারবেন তা সময়ই বলবে৷ তবে, পঞ্চাশের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও যথেষ্ট হ্যান্ডসাম ও অ্যাপিলিং তিনি৷ আর এর আগেও তাঁর থেকে অনেক কম বয়সি নায়িকার বিপরীতে চূড়ান্ত সাফল্য দেখিয়েছেন সালমান৷ তাই এ ছবির রোমান্স নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই৷
ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক সুরজ বরজাতিয়া স্বয়ং৷ তাঁর প্রযোজনা সংস্থা রাজশ্রী প্রোডাকশন এবার হলিউডের ফক্স স্টার স্টুডিওর হাত ধরেছে৷ ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’-র পর তাঁর পরিচালনাতেই সলমন অভিনীত ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ নয়ের দশকের বক্স অফিসে সবচেয়ে হিট ছবির তকমা পেয়েছিল৷ বহুদিন সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ণ ছিল৷ তার বেশ কয়েক বছর পর মুক্তি পায় ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’৷ সেটাই সালমান-বরজাতিয়া জুটির একসঙ্গে শেষ ছবি৷ এবার ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ বক্স অফিসে কতটা কামাল দেখাতে পারে, তাই নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহী সলমন ভক্তদের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিও৷ অপেক্ষায় ফিল্ম সমালোচকরাও৷ দীপাবলির ছবি মানেই এতদিন ছিল শাহরুখ খানের একচেটিয়া অধিকার৷ আর ঈদ স্পেশাল মানেই ছিল সালমানের ছবি৷ এবার দীপাবলির পর দিন, ১২ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’৷ এই ওলটপালট মুক্তি নিয়েও যথেষ্ট উদ্দীপনা সলমনের ফ্যানদের মধ্যে৷
প্রথম হিট ছবি এবং সুরজ বরজাতিয়া নিয়ে প্রসঙ্গ উঠলেই নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন সলমন৷ আজও তিনি মনে করেন, যদি সুরজ তাঁকে নিয়ে ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ না করতেন, তাহলে তাঁর জীবনযাত্রা একটু আলাদা হত৷ সালমানের ভাষায়, সেইসময় ১৯ বছরের এক তরুণকে দিয়ে এমন ঝুঁকি নেওয়ার সাহস শুধু সুরজ বরজাতিয়াই দেখাতে পারতেন৷ যদিও তখন সলমনের ঝুলিতে ‘বিবি হো তো এইসি’-র মতো ফ্যামিলি ড্রামা রয়েছে৷ কিন্তু সেই ছবি বক্স অফিসে কোনও সাড়াই ফেলতে পারেনি৷ তাছাড়া সেই ছবিতে তাঁর ভূমিকা ছিল পার্শ্ব চরিত্রে৷ অন্যদিকে, বরজাতিয়াদের রাজশ্রী প্রোডাকশন তখন নতুন মুখের খোঁজে৷ ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’-র প্রেম চরিত্রের জন্য তখন সালমানের থেকে এগিয়ে ছিলেন দীপক তিজোরি৷ কিন্তু তবুও সালমানের উপরই আস্থা রেখেছিলেন সুরজ৷
হাত ধরে এত সাফল্য পাওয়ার পর ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’-র অফারকে কীভাবে আর না করতেন সালমান! করেনওনি তিনি৷
জীবনে এত ছবি করেছেন সালমান৷ প্রচুর হিট আবার ফ্লপের সংখ্যাও রয়েছে অনেক৷ তবে ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’-কে নিজের কেরিয়ারের সেরা ছবি বলেছেন তিনি৷ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সালমান বলেছেন, “সহজ-সরল, সুন্দর, মিষ্টি ছবি৷ রোমাণ্টিক, সঙ্গে পারিবারিক ছবিও বটে৷” সালমানের চোখে সুরজ হলেন এমন একজন মানুষ, যিনি পর্দায় একজন অভিনেতাকে একজন ভাল মানুষ হিসাবে তুলে ধরেন৷ সিনেমা হল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর সেই ভাল মানুষকে দেখার হ্যাংওভার অনেকক্ষণ স্থায়ী হয়৷ অনেকেই রোমাণ্টিক নায়ক হিসাবে শাহরুখকে সালমানের আগে রাখেন৷ তা নিয়ে কুছ পরোয়া নেই সালমানের৷ তিনি নিজেকে যথেষ্ট রোমাণ্টিক মনে করেন৷ কিন্তু সেই রোমাণ্টিক মন বাইরের লোককে বুঝতে দেন না৷ তাঁর কাছে রোমান্স মানেই পাশের বাড়ির মেয়েকে প্রেম নিবেদন করা নয়৷ বরং কোনও প্রবীণ ব্যক্তি বা ছোট শিশুর কাছেও নিজের প্রেম উজাড় করে দেওয়া যায়৷
মহৎ অর্থে এটাই তো প্রেম৷ আর পর্দায় সেই ‘প্রেম’ সালমানই দেখাতে পারেন৷ সাম্প্রতিক ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ৷ তবে, আপাতত আমরা অপেক্ষায় ওঁর রোমান্স দেখবার জন্য৷ পারিবারিক ক্যানভাসে সালমানের ‘প্রেম’ সোনামকে কতটা রঙিন করে তোলে, দেখতেই হবে৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন