সায়েদাবাদে ফের সংঘর্ষ, দূরপাল্লার যান চলছে না

্আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিবহন শ্রমিকদের দুই সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে মঙ্গলবার সকালে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো দুরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার সংঘর্ষের জেরে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল দূরপাল্লার যান চলাচল। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। দূরপাল্লার যান বন্ধের কারণে সকাল থেকে ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী।
সরেজমিনে সায়েদাবাদ বাসটার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে থেমে থেমে মিছিল করছে শ্রমিকরা। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কয়েকজন শীর্ষনেতা। মিছিল থেকে শ্রমিকরা লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালাতে দেখা গেছে। এ সময় সায়েদাবাস যাত্রাবাড়ী এলাকা দিয়ে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে তারা। ওই এলাকা দিয়ে দুয়েকটি বাস চলাচল করতে দেখলে তারা বাধা দিচ্ছে।
দীর্ঘ দিন ধরে বঙ্গভবনের পূর্ব দিকে শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়টি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে ছিল। রোববার রাতে ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন তা দখলে নিতে চেষ্টা করলে বিবাদ শুরু হয়। বাংলাদেশ সড়ক শ্রমিক পরিবহন ইউনিয়নের নেপথ্যে আছেন স্থানীয় সাংসদ হাবীবুর রহমান মোল্লা এবং ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের নেপথ্যে আছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
১৯৯৬ সালে ওই কার্যালয়টি নিয়ে রায় দিয়েছিল আদালত। তখন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে থাকায় কার্যালয় দীর্ঘ দিনেও ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন দখলে যেতে পারেনি। তবে দুই সংগঠনই চাঁদাবাজির অর্থ ভাগ করে নিতো। সম্প্রতি চাঁদাবাজির ভাগ ভাটোয়ারা নিয়েআবারো দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে দুইপক্ষই কঠোর অবস্থান নেয়। এর জের ধরেই মঙ্গলবার বন্ধ হয়ে যায় দূরপাল্লার বাস।
আন্দোলনরত এক শ্রমিক নেতা জানান, আমাদের কার্যালয় বুঝিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এদিকে মঙ্গলবার (২১ জুন) যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেছেন, ‘মধ্যরাত থেকেই দূরপাল্লার কোনো বাস চলছে না। তবে ঢাকায় সিটি সার্ভিস অব্যাহত আছে।’
চট্টগ্রামের ইউনিক পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হক বলেছেন, ‘টার্মিনাল কিংবা কাউন্টার, কোনো স্থান থেকেই দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়ছে না।’
গুলিস্তানে একটি কার্যালয়ের দখল নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বন্দ্বে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে বঙ্গভবনের পূর্ব দিকে ওই কার্যালয় দখল নিয়ে শ্রমিকদের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর পর রাস্তার উপর বাস রেখে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা।
তিন ঘণ্টা হানিফ ফ্লাইওভারে দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকার পর বিকেলে ওয়ারি জোনের ডিসির মধ্যস্থতায় গাড়ি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
ওসি মো. আনিসুর রহমান গতকাল বাংলামেইলকে জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওয়ারি জোনের ডিসি মঙ্গলবার (আজ) দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা বাস সরিয়ে নেয়।
বঙ্গভবনের পূর্ব দিকে শ্রমিক ইউনিয়নের ওই কার্যালয়টি আগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে ছিল। রোববার রাতে ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন তা দখলে নিলে বিবাদ শুরু হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা
দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিবিস্তারিত পড়ুন

শিবির সভাপতি: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

মহাকাশে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, শীর্ষে কোন দেশ?
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে মোট ৩০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণবিস্তারিত পড়ুন