শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

সিগারেটের আগুন থেকে দাবানল, সাইপ্রাসের ১০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল পুড়ে ছাই

সাইপ্রাসে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ দাবানলের সূত্রপাত হয়েছিল পাহাড়ি সড়কের ধারে অসাবধানতাবশত ফেলে দেওয়া একটি সিগারেটের আগুন থেকে। দাবানলের কারণ নিয়ে করা এক অনুসন্ধানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস ব্যুরো (এটিএফ) এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুষ্ক ঝোপঝাড়ে অসাবধানতাবশত ফেলে দেওয়া সিগারেটের আগুনই ছিল হঠাৎ করে শুরু হওয়া এই দাবানলের উৎস।

গত জুলাইয়ে উপকূলীয় লিমাসল শহরের কাছে এই দাবানলে দুজনের মৃত্যু হয়, ৭০০টিরও বেশি স্থাপনা ধ্বংস হয় এবং একশ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে যায়।

এটিএফ জানায়, দাবানলের উৎসস্থল মালিয়া ও আর্সোস গ্রামের সংযোগ সড়কের ধারে মাটিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বহু সিগারেটের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে। তদন্তকারীরা উল্লেখ করেছেন, সে সময়ের পরিবেশ ছিল অত্যন্ত দাহ্য। বাতাসের গতি, শুষ্ক আবহাওয়া ও উচ্চ তাপমাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে সিগারেটসহ যেকোনো জ্বালানি উপকরণ থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।

তদন্তে প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা, ভিডিও, ছবি ও সাইপ্রাসের ফায়ার সার্ভিসের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, প্রবল বাতাস ও কম আর্দ্রতা আগুন ছড়িয়ে পড়ার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রায় ২৫০ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী ও ১৪টি বিমান দুদিন ধরে পাহাড়ি এলাকায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। সে সময় সরকার জানায়, প্রবল বাতাস, তীব্র গরম ও পরপর তিন শীত মৌসুমে স্বল্প বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট শুষ্ক আবহাওয়া দাবানলকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছিল।

সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডুলিদেসের অনুরোধে এটিএফের একটি দল দেশটিতে গিয়ে ১০ দিনব্যাপী তদন্ত চালায়।

অগ্নিকুণ্ড থেকে বাঁচতে গাড়িতে করে পালানোর চেষ্টা করার সময় এক বৃদ্ধ দম্পতি আগুনে পুড়ে মারা যান। তাদের গাড়িটি উদ্ধার করা হয় লিমাসলমুখী এক পাহাড়ি সড়কের ধারে।

এটিএফ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অস্বাভাবিক তাপদাহ ও বৃষ্টিপাতের ঘাটতি এ বছর তুরস্ক, গ্রিস ও সাইপ্রাসে দাবানলকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন পরিচালিত ওই গবেষণায় বলা হয়, ২০২৫ সাল ছিল ইউরোপের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের বছর। এ বছর আগুনের তীব্রতা ছিল প্রায় ২২% বেশি। দাবানলের আগুনে এসব দেশে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়, এছাড়া ৮০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ১০ লাখ হেক্টর বনভূমি পুড়ে যায়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের

জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন

  • গাজায় অনাহারে ২ শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু
  • যুক্তরাষ্ট্রে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীদের ভিসার মেয়াদ
  • চবিতে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ-ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ১০
  • রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
  • স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
  • কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
  • স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদের কথা মাথায় রেখেই দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে
  • বিএনপি সুশাসনে ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করে
  • ভাতার ১ম কিস্তি শুরু; গর্ভবতী ভাতার আবেদন শর্ত
  • ফোরজির সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস কার্যকর হচ্ছে সেপ্টেম্বর থেকে