সিঙ্গাপুর ফেরত ৫ বাংলাদেশি ৭ দিনের রিমান্ডে
জঙ্গি-সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুরের থেকে ফেরত আটক ৫ বাংলাদেশির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ৫ বাংলাদেশিকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে রামপুরা থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মুনছুর আলী। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আলী মাসুদ শেখ এ আদেশ দেন।
আটকেরা হলেন— মো. মিজানুর রহমান ওরফে গালিব হাসান (৩৮), মো. রাহা মিয়া পাইলট (২৯), মো. আলমগীর হোসেন (৩১), মো. তানজিমুল ইসলাম (২৪) ও মো. মাসুদ রানা ওরফে সন্টু খান (৩১)।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
জঙ্গি-সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই দেশে অবস্থানরত ১৩ বাংলাদেশিকে আটক করে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে এবং বাকি ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের হেফাজতে রেখেছে। যে ৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের আটক করে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটি)।
রাজধানীর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আটক ৫ জনকে ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে ফেরত পাঠানোর পর থেকে আমরা তাদের ওপর নজরদারি করি। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদ-সংবলিত বেশ কিছু বই ও পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, আটকেরা ওই দেশে অবস্থান করে জঙ্গিবাদে যোগদানের জন্য সদস্য সংগ্রহ করছিল। বিভিন্নভাবে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য তারা ফান্ড কালেক্ট করছিল।’
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর থেকে দেওয়া অভিযোগ সম্পর্কে আমরা যাচাই-বাছাই করছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, তারা ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরে শ্রমিক হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে সে দেশে গিয়েছিল। তারা বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল না। সেখানে যাওয়ার পর তারা হয়তো এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। তাদের কাছ থেকে মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানীর লেখা উস্কানিমূলক বই পাওয়া গিয়েছে। মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা।’
‘দেশের কোনো জঙ্গি সংগঠনকে তারা আর্থিক সহায়তা করতো কি না’―জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমরা এখনো জানতে পারিনি। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানাতে পারব। মামলা করার পর বুধবার (৪ মে) আদালতে পাঠিয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।’
‘এর প্রায় দুই মাস আগেও সিঙ্গাপুর সরকার জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে যে ২৬ জনকে ফেরত পাঠিয়েছিল, তাদের মধ্যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছিল। তারা এখন জেলহাজতে রয়েছে’ বলেও জানান পুলিশের এ মুখপাত্র।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন