সিটি ভোটের প্রচারেও মন্ত্রী-এমপিরা নয়
সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রথমবারের মতো দলীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ভোটে মন্ত্রী ও সাংসদসহ সরকারি সুবিধাভোগীরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।
ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনের আচরণবিধির ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ সিটির ভোট সামনে রেখে জারি করা সিটি নির্বাচনের নতুন আচরণবিধিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, “মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সমমর্যাদার ব্যক্তি, সংসদ সদস্য ও সিটি মেয়ররাও প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। এ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে দলীয় ভিত্তিতে সিটি নির্বাচনের আচরণবিধি জারি হয়েছে, যা যথাযথ প্রতিপালনের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।”
তিনি বলেন, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারির নির্বাচনী প্রচারণা ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে তারা নির্বাচনী প্রচারণা ও কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
সোমবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন নতুন আচরণবিধি জারি করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।একইসঙ্গে সংশোধিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালাও প্রকাশ করা হয়।
মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থিতার সুযোগ রয়েছে। তবে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট হবে নির্দলীয়।
দলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলের প্রত্যয়ন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৩০০ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর তালিকা জমা দিতে হবে।
আচরণবিধি অনুযায়ী, সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ প্রচারণার কাজে সরকারি সার্কিট হাউজ, ডাকবাংলো, রেস্ট হাউজ বা সরকারি কার্যালয় ব্যবহার করতে পারবেন না; সেখানে অবস্থানও করতে পারবেন না।
প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে পাঁচ জনের বেশি রাখতে পারবেন না।নির্বাচনী প্রচারণায় জীবন্ত প্রাণীর ছবি ব্যবহার করা যাবে না। প্রার্থীরা ভোটের প্রতীক পাওয়ার পরই প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।
বিধি অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে দল প্রতি পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করা যাবে।
এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি ভোটার থাকায় মেয়র প্রার্থী ১৫ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন।
এর সঙ্গে আরও ৭৫ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ব্যয়ের সুযোগ রয়েছে। কাউন্সিলর পদে ভোটার অনুপাতে একলাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা।
বিধি লঙ্ঘনে দলকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। একই জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে; তার সঙ্গে যোগ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড।
‘এখনো বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নেই’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ওই নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি প্রতিপালনে নির্বাচন কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “দলীয় এ নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ নেই। কারো বিষয়ে অভিযোগ পেলে তা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সোমবার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ২২ ডিসেম্বর ভোটের আগে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। বিডিনিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন