‘সিনেমাজগতেই শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছিলাম’
বলিউড তারকাদের খ্যাতি আর আলোকোজ্জ্বল দুনিয়ার পেছনে যে একটা অন্ধকার এঁদো গলি লুকিয়ে থাকে, এই কথাটি অনেক পুরোনো। খ্যাতির পথটি কণ্টকাকীর্ণ, নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তবেই এগোতে হয় এই পথে। সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে খ্যাতির সেই পিচ্ছিল পথের নানা আখ্যান।
কুইন চলচ্চিত্রের জন্য ব্যাপক প্রশংসিত বলিউডের এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। যিনি এ কাজ করেছিলেন তাঁর নাম জানাতে না চাইলেও, অভিযুক্ত সিনেমাজগতেরই কোনো তারকা বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে গিয়ে জীবনের কঠিন বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা ভক্তদের কাছে শেয়ার করেন খ্যাতিমান এই অভিনেত্রী।
পরে এই বিষয়টি নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে একটি সাক্ষাৎকারও দেন ‘কুইন’ কঙ্গনা। কঙ্গনা বলেন, ‘তখন আমার বয়স মাত্র ১৭ বছর। আর সেই সময়টাই খুব কঠিন ছিল আমার কাছে। আমি শারীরিক নিগ্রহের শিকার হই। আমি বিস্তারিত বলতে চাইছি না।’ তবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, ‘সে আমার শুভাকাঙ্খী হয়েই পাশে এসেছিল। আপনার মনে হবে মানুষ আপনাকে সহযোগিতা করছে। কিন্তু কোনো কিছুই মূল্য বিনে হয় না।’
কিন্তু এত বাধা সত্ত্বেও হার না মানার কথা জানান কঙ্গনা। ভক্তদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘যখন কেউ ফাঁদে পড়ে, তাঁকে সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসে না । তাই, নিজের ইচ্ছেতেই বেরিয়ে আসতে হয় সেখান থেকে।’
এর আগেও বলিউডের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কঙ্গনা। অভিযোগ করেছিলেন শারীরিক নির্যাতনেরও। স্মৃতি ঘেঁটে ভক্তদের কাছে বলেন, ‘আমি যখন ১৭, আমার বাবার বয়সী লোকটা আমার মাথায় সজোরে আঘাত করে। আমার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। আমিও আমার চটিটা খুলে ওর দিকে ছুড়ে মারি। ওরও রক্ত ঝরছিল।’ তবে তিনি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেও অভিযুক্তকে শুধুমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে আক্ষেপ করেন কঙ্গনা।
বলিউডে তাঁর ভিন্ন ধারার অভিনয় মানুষের মন কেড়েছে শুরু থেকেই। তাঁর অভিনীত গ্যাংস্টার, লাইফ ইন এ মেট্রো, ফ্যাশন, কুইন, তনু ওয়েডস মনু প্রভৃতি অনেক ছবিই দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল।
সর্বশেষ কুইন মুভির পর তিনি আবার সাহসী মন্তব্যের জন্য আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন। সম্প্রতি তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি সতী-সাবিত্রী নই, হতেও চাই না।’
সাংবাদিকদের কাছে ওই সময় কঙ্গনা আরো বলেন, ‘ভারতীয়রা এমনিতেই একটু বেশি সহানুভূতিশীল এবং সব সময়ই অনুনয়-বিনয়ের ওপর নির্ভরশীল। তাদের আরো বেশি দৃপ্ত, বলিষ্ঠ হয়ে উঠতে হবে ভবিষ্যতে। এতে তারা তাদের জীবনকে আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন