সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপরে
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
পানিবৃদ্ধির ফলে নতুন করে জেলার আরো দুইটি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে জেলার মোট ৩৩টি ইউনিয়ন এখন বন্যাকবলিত।
অব্যাহতভাবে পানি বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জের পাঁচ উপজেলার চরাঞ্চলের ৩৩টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই জেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। খাবার ও পানির সংকটে বন্যাকবলিতরা এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। এদিকে বানভাসি মানুষ এখনো তেমন কোনো ত্রাণ সাহায্য পায়নি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এক সপ্তাহের ওপরে বাড়িঘরে পানি আসার কারণে অনেকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া খাবার পানির সংকট থাকার কারণে ডায়রিয়া তো রয়েছেই। বন্যাকবলিত এলাকার জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে বলে প্রশাসন থেকে জানালেও বন্যাদুর্গত এলাকায় তাদের দেখা যায়নি।
এদিকে, অব্যহতভাবে পানিবৃদ্ধির কারণে ব্রহ্মপুত্রের পশ্চিম বাঁধে চাপ পড়ছে। গত বুধবার থেকে সদর উপজেলার রানীগ্রামের শিমুলতলী এলাকায় বাঁধের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে। বাঁধের অন্তত পাঁচটি স্থানে এ অবস্থা চলতে থাকে। এক জায়গায় বাঁধ মাঝখানে অনেকটা দেবে গেলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা গিয়ে বাঁধের নিচে মেরামত করে দুই দিকে বালির বস্তা দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এর মোকাবিলা করে। সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ওয়ালি উদ্দিন জানান, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর এবং চৌহালী উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামের অন্তত সাড়ে ১০ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। এ ছাড়া ১২০০ বাড়িঘর আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ১৩৯টি কেন্দ্রে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার পাঁচটি উপজেলার বন্যাকবলিতদের মাঝে ২৫০ মেট্রিকটন চাল ও ছয় লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আরো ত্রাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, যমুনায় অব্যাহতভাবে পানিবৃদ্ধির কারণে বাঁধে প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। এ কারণে কয়েকটি স্থান দিয়ে পানি সিকেজ হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যেই সেই সিকেজগুলো মেরামত করা হয়েছে। আরো কোথাও সিকেজ আছে কিনা তাও মনিটরিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
প্রকাশ্যে চলছে রমরমা মাদক ও জুয়ার আসর, ওসি বললেন জানা নেই
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার জালালপুরে প্রকাশ্যে চলছে লাখ লাখ টাকা জুয়াবিস্তারিত পড়ুন
পিস্তল উদ্ধার ! মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গুলি করা শিক্ষক আটক।
সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ক্লাসরুমের ভেতরে একবিস্তারিত পড়ুন
সিরাজগঞ্জে বাউলদের অনুষ্ঠানে হামলা, আহত ৯
সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় বাউল শিল্পীগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলারবিস্তারিত পড়ুন