মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল, দুই সহযোগীর যাবজ্জীবন

চাঁদপুরের পারভীন হত্যা মামলায় আলোচিত সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মো. জিয়াউল করিম ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

একই মামলার অপর দুই আসামি রসু খাঁর ভাগ্নে জহিরুল ইসলাম (৩৫) ও তার সহযোগী মো. ইউনুছকে (৩৮) মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

পারভীন হত্যা মামলায় ২০১৮ সালের ৬ মার্চ তিন আসামি রসু খাঁ, জহিরুল ইসলাম ও মো. ইউনুছকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) আবদুল মান্নান।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে (ডেথ রেফারেন্স) পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিল করেন। গত ৪ জুলাই এ আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৯ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা রসু খাঁ চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের মুন খাঁ ওরফে আবু খার ছেলে। মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জহিরুল পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সৈয়াল বাড়ির মো. মোস্তাফার ছেলে এবং ইউনুস একই গ্রামের মৃত মিসির আলীর ছেলে।

অন্যদিকে, হত্যাকাণ্ডের শিকার পারভীন আক্তার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের পালতালুক গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী। তার বাবার নাম মৃত কাজল খান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২০ জুলাই রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে রসু খাঁ ও অপর আসামিরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার মধ্য হাঁসা গ্রামের নির্জন মাঠে পারভীন আক্তার নামে এক নারীকে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পারভীনের স্পর্শকাতর অঙ্গে ও দুই পায়ের উরুতে সিগারেট দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ২০টি ক্ষতচিহ্ন ছিল। ওই সময় মরদেহ অজ্ঞাতনামা হওয়ায় তৎকালীন সময়ের ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মীর কাশেম আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, সদর উপজেলার মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খাঁ ভালোবাসায় পরাস্ত হয়ে একসময় সিরিয়াল কিলারে পরিণত হয়। ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর বাজার উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মসজিদের ফ্যান চুরির ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর এক এক করে তার রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের চিত্র বেরিয়ে আসে।

ওই সময় রসু খাঁ নিজের মুখে ১১ জন নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তার টার্গেট ছিল ১০১ জন নারীকে হত্যা করা। এই স্বীকারোক্তির পর রসু এবং তার দুই সহযোগীকে পারভীন আক্তার হত্যা মামলায় আসামি করা হয়। আটকের আড়াই মাস আগে পারভীনকে হত্যা করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশফিকুর রহমান ঘটনা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রসু খাঁর বিরুদ্ধে পারভীন হত্যা মামলা ছাড়াও আরও সাতটি মামলা রয়েছে আদালতে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আর্থিকখাতে যুবকদের অন্তর্ভুক্তি: আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের যুব সমাজকে আর্থিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখা ২০২৪বিস্তারিত পড়ুন

বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাবিস্তারিত পড়ুন

অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিকসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।বিস্তারিত পড়ুন

  • মাজারের শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিসিদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
  • এক সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হবে: চিফ প্রসিকিউটর
  • ডেঙ্গুতে আরও এক জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৮৬
  • সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা জানতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র সচিব
  • কালো মেঘে ঢাকা আকাশ, টানা বৃষ্টি, রোদ ঝলমলে হতে আরও দুদিন
  • অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতারকে নিয়ে যে আদর্শ গল্পে পড়েছে সাড়া
  • কিবরিয়া হত্যাসহ চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বাবর
  • রাজধানীতে নাশকতাকারী সন্দেহে দুজন আটক, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার
  • জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছে: ফরিদপুরের নবাগত ডিসি
  • দেশ এখনো শঙ্কামুক্ত নয়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন
  • গণমাধ্যমের সাথে আলোচনা করে কমিশন করা হবে: তথ্য উপদেষ্টা
  • উত্তম ব্যবহার ও যথাযথ আইন প্রয়োগে ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের