সিয়ামকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
শরীয়তপুরে পল্লী বিদ্যুতের ছিঁড়ে পড়া তারে জড়িয়ে দুই হাত হারানো সিয়াম খানকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্য সিয়ামের পরিবারকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট আজ মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন।
‘দুটি হাত কেটে ফেলতে হয়েছে সিয়ামের’ শিরোনামে গত ২৪ এপ্রিল এক প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ আরেকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত মে মাসে আদালতে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সিফাত মাহমুদ। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ অন্তর্বর্তী আদেশ দেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ওই এলাকায় যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবহেলা ঘোষণা করা হবে না এবং সিয়াম খান আহত হওয়ার জন্য কেন দায়ী করা হবে না এবং সিয়াম খানকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
এ জন্য গত ২৯ মে আদালতে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে হাজির হতে বলা হয়। তাঁরা হলেন অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড সাপ্লাই), জেনারেল ম্যানেজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, ও অ্যান্ড এম) নড়িয়া সাব-জোনাল অফিস শরীয়তপুর, সেক্রেটারি শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরা আদালতে হাজির হন। ৩০ মে শুনানিতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আইনজীবী আদালতে বলেন, অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। ওই চারজন ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদনের জানান। ওই দিন আদালত ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে তাঁদের অব্যাহতি দিয়ে ৪ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব শফিক। সঙ্গে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী সিফাত মাহমুদ।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
পরে সিফাত মাহমুদ বলেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা ৩০ দিনের মধ্য সিয়ামের পরিবারকে দিতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন
ওই দুর্ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্ত কমিটি মনে করে, গত ৫ এপ্রিল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিযোগ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. মিজানুর রহমান (লাইনম্যান গ্রেড-১) পাওয়া অভিযোগ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করেননি। লিপিবদ্ধ না করায় অভিযোগটি নজর আসেনি কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ তার তত্ত্বাবধায়ককে না জানানোর কারণে ঝড়ে ছিঁড়ে পড়া তারের বিষয়টিও নজরে আসেনি। দুর্ঘটনার পরের দিন ৬ এপ্রিল উপসি সেকশনের আওতাধীন পশ্চিম বিজারি গ্রামের ছেঁড়া তারের বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত লাইনম্যানরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মেরামতকাজ সম্পাদনপূর্বক ওই সেকশন চালু করলে ওই ঘটনা নাও ঘটতে পারত।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক, পবিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক, (দ. অ.) মো. ওমর ফারুক ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন