সুইসাইড নোটটি লিখেছেন মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব, প্রমাণ পুলিশের হাতে
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএ হান্নানকে দায়ী করে লেখা সুইডাল নোটটি আত্মহত্যাকারী মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের নিজের লেখা বলে প্রমাণ পেয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত দলের (সিআইডি) হস্তলিপি বিশেষজ্ঞরা। ১৬ মাসের তদন্ত শেষে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়েছে। যেকোনো দিন এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মামুন ফরাজি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিআইডির হস্তলিপি বিশারদ টিমের দেওয়া প্রতিবেদনে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হয়েছে, চিরকুটটি নিহত মুক্তিযোদ্ধার হাতের লেখা’।
গত বছরের ৮ জুন রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি আবাসিক হোটেলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আইয়ুব খান। আইয়ুবের আত্মহত্যার পর ওই কক্ষ থেকে চার পৃষ্ঠার একটি সুইসাইডাল নোট উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে লেখা ছিল, ‘চট্টগ্রাম দক্ষিণ ইউনিট মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ঘোষণা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএ হান্নানকে মাছ, শুঁটকি ও টাকা দেওয়ার পরও তিনি ইউনিট কমান্ড ঘোষণা করেননি। তাকে (সচিব) দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে তার বাসায় গেলে আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে অপমান করে বের করে দেওয়ায় আত্মহত্যা করলাম।’
পরে সুইসাইডাল নোটের লেখার সত্যতা যাচাইয়ে সিআইডির হস্তলিপি বিশারদদের কাছে পাঠানো হয়।
চাঞ্চল্যকর এ আত্মহত্যার ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। দেশব্যাপী আলোচিত এই ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ফরাজির ওপর। দীর্ঘ ১৬ মাসের তদন্ত শেষে মামুন আজ বুধবার বলেন, ‘ওই মামলার সব তদন্ত শেষ। যেকোনো সময় তা জমা দেওয়া হবে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, আইয়ুব খানের আত্মহত্যার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দায়ী করে লেখা সুইসাইটড নোটের সত্যতা প্রাথমিকভাবে নিশ্চত ছিল। তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুলিশের বিশেষ টিমের কাছে পাঠানো হয়। ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিআইডির হস্তলিপি বিশারদ টিম প্রতিবেদন দিয়েছেন। প্রতিবেদনে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হয়েছে, চিরকুটটি নিহত মুক্তিযোদ্ধার হাতের লেখা।
যদিও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান ওইসময় দাবি করেছিলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানকে তিনি চেনেন না। তার সম্পর্কে চিরকুটে যা বলা হয়েছে তা সত্য নয়।’
আত্মহত্যায় সহায় বা প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ হলে দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারা অনুযায়ী ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আর আত্মহত্যার চেষ্টাকারীর শাস্তি দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারায় এক বছর কারাদণ্ড।
আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী হিসেবে সচিবের সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালত সেটা প্রমাণ করবে। বিষয়টি তদন্তাধীন। এখই সবকিছু এভাবে বলা ঠিক হবে না’।
বিষয়টি নিয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় রিপোর্ট চলে গেছে। এটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে, এই কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। সময় হলে সবকিছু জানতে পারবেন’।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন