সুখী জীবনের জন্য মেনে চলুন এই পাঁচটি নিয়ম
যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনার সুখী হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা কী, তাহলে অধিকাংশ মানুষই বোধহয় উত্তর দেবেন, উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তাই সুখের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। সত্যি, আধুনিক জীবনে দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই। অফিসে প্রমোশনটা ঠিকঠাক হবে কি না সেই নিয়ে দুশ্চিন্তা, পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস হবে কি না সেই নিয়ে দু্শ্চিন্তা, বাড়িতে বউয়ের সঙ্গে অশান্তি কীভাবে মেটাবেন সেটাও আর এক দুশ্চিন্তা।
একটু ভেবে দেখলে দেখবেন, এই দুশ্চিন্তাই আপনার সুখের সবথেকে বড় শত্রু। দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগ যদি ঝেড়ে ফেলতে পারেন, তাহলেই জীবন অনেকটা নির্ভার হয়ে উঠবে। কীভাবে সামলাবেন দুশ্চিন্তার ভার? এর উপায় হিসেবে ধ্যান, প্রাণায়াম বা রিল্যাক্সেশন এক্সারসাইজের কথা হয়তো শুনেছেন। তাতে দুশ্চিন্তা কমে ঠিকই, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। তাহলে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায় একটি সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে? মনস্তাত্ত্বিকরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলছেন, আপনাকে নিজেকেই যে কোনও সমস্যা সমাধানে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু কী হবে সেই ভূমিকা? তাঁরা বলছেন, মূলত পাঁচটি ধাপে যে কোনও সমস্যা সমাধানের দিকে আপনাকে অগ্রসর হতে হবে। কীরকম? আসুন, জেনে নিই—
১. প্রথমে কোথাও স্থির হয়ে শান্ত মনে বসুন। চাইলে শুয়েও পড়তে পারেন। প্রথমেই নিজেকে প্রশ্ন করুন, ‘‘আমি কি উদ্বিগ্ন?’’ এই প্রশ্ন জরুরি। কারণ আপনি যে মানসিক অশান্তি অনুভব করছেন তা সত্যিই উদ্বেগ কি না তা জানা দরকার। কাজেই প্রথমেই গভীরভাবে ভেবে স্থির করুন, আপনার মনের অশান্তিটি উদ্বেগ কি না।
২. প্রথম প্রশ্নটির উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তাহলে এবার নিজের কাছে জানতে চান, ‘‘কেন আমি উদ্বিগ্ন?’’ এই স্তরে আপনার লক্ষ্য হবে, উদ্বেগের কারণটিকে চিহ্নিত করা। কারণ অনেক সময়েই আমরা আমাদের উদ্বেগের কারণটি স্পষ্টভাবে বুঝে উঠতে পারি না। কিন্তু সমস্যা সমাধানের জন্য সমস্যাটিকে চিহ্নিত করা অত্যন্ত জরুরি।
৩. তৃতীয় পদক্ষেপে সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার কী করা উচিৎ তা নির্ধারণ করুন। নিজের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রাখুন, কতটা আপনার পক্ষে করা সম্ভব সেটাও বিচার করুন। সেই অনুযায়ী বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করতে পারবেন আপনি, তা নির্ধারণ করুন।
৪. নিজের ক্ষমতায় যদি দেখেন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, তাহলে বুঝতে হবে, অন্যদের সাহায্য আপনার দরকার। কীভাবে কার সাহায্য আপনি নিতে পারেন, কে এই বিশেষ অবস্থায় আপনার সবচেয়ে কাজে আসতে পারবেন তা ভেবে নিন।
৫. এবার নিজের মনকে শক্ত করুন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে। কারণ এ কথা বলা বাহুল্য যে, শুধু ভেবে কোনও সমস্যারই সমাধান করা যায় না। কাজেই আপনাকে কাজ করতে হবে। সেই কাজ করার জন্য দৃঢ় সংকল্প হন।
এই পাঁচটি স্তরের মধ্যে এগনোর পর দেখবেন, মন অনেক হালকা হয়ে গিয়েছে, নিজেকে আর অত সমস্যা জর্জরিত মনে হচ্ছে না। পাশাপাশি মন থেকে উধাও উদ্বেগ, আর আপনি পেয়ে গিয়েছেন সুখী জীবনের চাবিকাঠি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন