সুখী হওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের ১১টি মতামত
সুখী জীবনের জন্য মানুষ কতো কিছুই না করে। তাদের পরামর্শ দিতে মনোবিজ্ঞানী, স্নায়ুবিজ্ঞানী, টাইকুন ব্যবসায়ী এবং আধ্যাত্মিক নেতারা গবেষণা চালিয়েছে জীবনযাপনকে সুখী করে তোলার উপায় খুঁজতে। তাদের নানা গবেষণার ফলাফল শেয়ার করা হয়েছে ’টেড কনফারেন্স’-এ।
এখানে জেনে নিন সুখী হওয়ার পেছনে বিশেষজ্ঞদের ১১টি মতামতের কথা-
১. হার্ভার্ড এর মনোবিজ্ঞানী ড্যান গিলবার্ট জানান, মানুষের মাঝে সাইকোলজিক্যাল ইমিউন সিস্টেম রয়েছে। আমাদের মস্তিষ্ক সুখানুভূতি তৈরি করতে পারে। এর মাধ্যমে যেকোনো আকস্মিক খারাপ পরিস্থিতে আমারা নিজেকে সামলে নিতে পারি।
২. কগনিটিভ রিসার্চার ন্যান্সি এটকফ মানুষের সুখের বিবর্তনবাদের মাধ্যমে সুখকে আকস্মিকতার সমার্থক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। নিজের ওপর গভীর মনযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আমরা জীবন নিয়ে তৃপ্ত থাকতে পারি। গতানুগতিক জীবন থেকে আলাদা কিছু যখন মানুষ উপভোগ করে তখনই ভালো লাগা তৈরি হয়। এটা সেক্স, কিছু শেখা ইত্যাদির মাধ্যমে আসতে পারে।
৩. বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী মিহালি সুখের উৎসের সন্ধান দিয়েছেন। তার মতে, কোনো বিষয়ে উৎকর্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের তীব্র মাত্রার অনুভূতিই তাকে সুখ এনে দেয়। এখান থেকে মানুষ তৎক্ষণাৎ সুখানুভূতি পায়।
৪. প্রাণরসায়নবিদ ম্যাথিউ রিকার্ড এখন বৌদ্ধ ভিক্ষু হয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের অন্তঃস্থলকে ভালো রাখতে আবেগকে বশের জন্য কিছু প্রাকৃতিক অ্যান্টিডোট রয়েছে। এগুলো আবেগকে বিক্ষিপ্ত করে আমাদের অসুখী করে তোলে। অন্তরের স্বাধীনতা বোধের একটি অনুভূতিই সুখ।
৫. অতি সংকটপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেও যা রয়েছে তা নিয়ে তৃপ্ত থাকার ফলাফলই সুখ। আর এই সংজ্ঞা নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সঞ্চয় করেছেন সফল উদ্যোক্তা তানিয়া লুনা। চরম দুর্যোগ আর দারিদ্রতার মধ্যে থেকেও তিনি ও তার স্বামী একে অপরের দিকে তাকিয়ে তৃপ্ত হতেন। আর তখনই নিজেদের সুখী মনে হতো তাদের।
৬. হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের প্রফেসর মাইকেল নর্টন ব্যাখ্যা করেছেন যে, অন্যকে সাহায্য করে আমরা কিভাবে সুখ বোধ করি। যারা অন্যদের দান করে বা নানা সাহায্য দিয়ে থাকেন তারা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি সুখী হন।
৭. বেনেডিক্টটাইন মঙ্ক ডেভিড স্টিন্ডল-রাস্টের মতে, সব সুখই আসে কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে। আমাদের ধৈর্য্য ও আন্তরিকতার সঙ্গে জীবনের বাঁধাগুলো গ্রহণ করতে হবে এবং জীবন থেকে যা আসবে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে।
৮. আরেক সফল উদ্যোক্তা রন গাটম্যানের মতে, একটি আন্তরিক হাসি শুধু নম্রতা-ভদ্রতা প্রকাশের উপায় নয়, এর মাধ্যমে সুখ আসে। রন বিগত কয়েক যুগ ধরে হাসির মাঝে যে সুখ লুকিয়ে রয়েছে তা নিয়ে গবেষণা করছেন। হাসির সময় মানুষের মস্তিষ্ক অনুভূতি প্রকাশে কাজ করে। এই অনুভূতিই তাদের মাঝে আনন্দ ও সুখ ছড়িয়ে দেয়।
৯. নবেল লরিয়েট ড্যানিয়েল কানম্যান বলেন, মানুষের অভিজ্ঞতা অর্জন ও স্মৃতির মাঝে সুখ লুকিয়ে রয়েছে। বর্তমান থেকে আমরা অভিজ্ঞতা লাভ করছি এবং অতীত থেকে স্মৃতি রোমন্থন করি। এ দুয়ের সমন্বয়ে ভালো থাকার অনুভূতি তৈরি হয়।
১০. হাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ব্রিনে ব্রাউনের মতে, সুখের দেখা পেতে হলে নিজেকে উন্মুক্ত তোলার শিক্ষা অর্জন করতে হবে। নিজের যাবতীয় বিষয় খোলামেলা এবং লুকোচুরির কিছু নেই এমন মানুষগুলোকে সুখী দেখেছেন তিনি। এমন মানুষের নিরাপত্তার অভাব থাকলেও তারা তা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু নিজেকে উন্মুক্ত করে তা সকল চাপ থেকে মুক্ত হয়েছেন।
১১. মনোবিজ্ঞানী শন অ্যাকর বলেন, সুখ বোধ করলেই আমরা আরো উৎপাদশীল হয়ে উঠি। নিজের জীবন নিয়ে ইতিবাচকভাবে যারা ভাবেন তারা ৩০ শতাংশ বেশি কাজ করতে পারেন। বর্তমানকে ইতিবাচক করে ভাবার কোনো উপায় যখন আমরা বের করতে পারি, তখনই মস্তিষ্কে ভালো লাগা তৈরি হয় যা আমাদের সুখী করে। আর তখনই মস্তিষ্ক আরো দ্রুততার সঙ্গে এবং সূক্ষ্মভাবে কাজ করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন