সুখের হয় বিছানার গুণে, জেনে নিন সহজ ৮ টিপস
সুখের ঘুম কিংবা সুখের দাম্পত্য যা-ই চান না কেন, আপনার বিছানাটা হওয়া চাই মনের মতো। কিন্তু মনের মতো কেমন করে বানাবেন? জেনে নিন সেক্সি বিছানার ৮টি পরামর্শ।
মনে রাখবেন, যৌনতা সুখের হয় বিছানার গুণে। পুরনো সঙ্গীকেও মনে হতে পারে নতুন, যদি আপনার বিছানাটি হয় আরামদায়ক। শুধু শরীরের নয়, হতে হবে চোখ এবং মনের জন্যও আরামদায়ক।
১। দেখা গিয়েছে, অল্পবয়সিদের থেকে যৌনতার ক্ষেত্রে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হন তুলনায় বয়স্ক মহিলারা। তার একটা বড় কারণ কী জানেন? সেটা তাঁদের শোওয়ার ঘর আর বিছানার পারিপাট্য। সুতরাং এলোমেলো নয়, ঘর হতে হবে সুখের ঠিকানা। যেখানে সেখানে যা খুশি ঝুলবে না।
২। অফিস থাকুক অনেক দূরে। বাড়ি থেকে তো বটেই শোয়ার ঘর থেকেও যেন অনেক অনেক যোজন দূরে থাকে আপনার অফিস। তাই টেলিফোন কিংবা কম্পিউটার কোনও কিছুই যেন বিছানার আশপাশে না থাকে। শোওয়ার ঘর যেন শুধু শোওয়ার জন্যই হয়। বিছানা হোক সুখের বাগিচা।
৩। বিছানা হোক সুন্দর। না, তার জন্য অনেক টাকা খরচ করার দরকার নেই কিন্তু সেটি যেন সুদৃশ্য হয়। কেনার সময়ে তার দাম নয়, ভাবুন সেটা আপনার মনের মত কি না। অনেকেই বিছানার তলায় এটা সেটা জমিয়ে রাখেন। কিন্তু মনে রাখবেন, তাতে সুখ জমে না।
৪। আলোয় থাকে সুখের চাবি। ঘরের আলো, মনেও আলো জ্বালে। সেই আলো ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। একাধিক আলোর উৎস থাকুক যার সুইচ থাকবে হাতের কাছে। ইচ্ছা মতো আলো যেন কমানো যায়। কম আলোই যৌনতায় সেরা। তবে মোমের আলোর রোমান্টিকতা চেয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না।
৫। ঘরের রং হোক হালকা, তবে খুব হালকা নয়। একেবারে হালকা রং ঘুমের জন্য ভাল, কিন্তু যৌনতার জন্য চাই একটু উত্তেজক রং। মাঝামাঝিটা বেছে নেওয়াই ভাল। সবচেয়ে ভাল ল্যাভেন্ডার, ওয়ার্ম গ্রিন, ব্রাউন, রোজ। সেই রং-এর সামঞ্জস্য থাকুক বেড-কভার, বালিশের।
৬। ঘরে আসুক মন্দ-মধুর হাওয়া। আপনার শোওয়ার ঘরটি এমন জায়গায় হওয়া উচিত, যেখানে হাওয়া আসবে প্রকৃতির গন্ধ নিয়ে। একান্ত না হলে পাখা থাকুক ভাল। আর এসি রাখুন বিছানা থেকে দূরে। সঙ্গে থাকুক সুগন্ধী পরিবেশ। রুম স্প্রে-র গন্ধ যেন মনে আনন্দ জাগায়।
৭। যদিও সব সময়ে নিজের হাতে থাকে না, তবে শোওয়ার ঘর হওয়া উচিত এমন জায়গায় যেখানে বাইরের কোলাহল পৌঁছয় না। সঙ্গীর ফিসফিস শব্দও যেন কানে আসে। এসি মেশিন থেকেও যেন আওয়াজ না বের হয়। বরং হালকা করে বাজুক মনের মতো ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক।
৮। শেষ কিন্তু সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, ঘরটি যেন হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। আর বিছানা তো পরিষ্কার হতেই হবে। থাকবে নরম, কোমল স্পর্শ। বিছানায় ভুলেও যেন ফুলের পাপড়ি না থাকে। সেটা দেখার জন্য ভাল, কিন্তু শোওয়ার জন্য নয়। ফুল থাকুক, ফুলের জায়াগায়। ফুলদানিতে।
অবশেষে বলি, খেয়াল রাখবেন কেউ যেন দরজায় নক না করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন