সুখে থাকার তিন দাওয়াই
সুখ মানব জীবনে সবেচেয়ে প্রত্যাশিত বিষয়। সুখে থাকার জন্য মানুষ অনেক কিছু করে থাকে। তবে কার সুখ কিসে? এটা বলা বলা মুশকিল। অনেক সময় অনেক সম্পদশালী ব্যক্তিও নানা মানসিক কষ্টে ভুগেন। আবার অনেক খেটে খাওয়া মানুষও দু’বেলা খেয়ে মানসিকভাবে সুখে থাকেন। সুতরাং সুখ হচ্ছে একটি আপেক্ষিক বিষয়।
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি অব অ্যাডাল্ট ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রবার্ট ওয়েলডিংগার প্রাপ্তবয়স্কদের জীবন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি একটি গবেষণার কাজ শেষ করেছেন। ১৯৩৮ সালে গবেষণাটির কাজ শুরু হয়। দুটি পর্বে গবেষণাটি পরিচালিত হয়ে সম্প্রতি শেষ হয়েছে।
ওয়েলডিংগার ‘টেড টক’ নামে একটি শো’তে সুখী হওয়ার কিছু গোপন বিষয় শেয়ার করেছেন।
পুরুষদের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়। গবেষণায় তাদের বিবাহিত জীবন, কাজের প্রতি সন্তুষ্টি, সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়গুলো আমলে নেয়া হয়। তাছাড়া, প্রতি পাঁচ বছর পর পর তাদের বুকের এক্স-রে, রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা এবং ইকোকার্ডিয়াম পরীক্ষা করা হয়।
সুখী হওয়ার জন্য গবেষণায় প্রধান যে বিষয়টি উঠে আসে তা হলো, ভালো সম্পর্ক আমাদের সুখী এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক: হার্ভাডের গবেষণায় বলা হয়, যারা পরিবার, বন্ধু এবং সমাজের লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তারা তুলনামুলক সুখে থাকেন বেশি। এমনকি তারা দীর্ঘায়ুও লাভ করে। আর যারা একা থাকেন তারা কম সুখী হন, বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগেন।
সম্পর্কের উৎকর্ষতা: সম্পর্কের উৎকর্ষতার প্রভাব নির্ভর করে বয়সের ওপর। হাভার্ডের গবেষণায় বলা হয়, অনেক বিবাহিত দম্পতিরা নিয়মিত তর্ক-বিতর্কে জড়ান এবং পরষ্পরের প্রতি কম আন্তরিক হন। এ ধরনের সম্পর্ককে গবেষণার লেখকরা ‘মাত্রাতিরিক্ত দ্বান্দ্বিক বিবাহ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বিশ বছর বয়সে অনেকেই সম্পর্কে জড়ান। এই বয়সেই সম্পর্কগুলো তেমন প্রভাব বিস্তার করে না। কিন্তু ত্রিশ বছর বয়সে এসে সম্পর্কের উৎকর্ষতা সামাজিক ও মানসিকভাবে সুখে থাকতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্থিতিশীল ও সহায়ক দাম্পত্য সম্পর্ক: সামাজিক যোগাযোগ শুধু শারীরিকভাবে ভালো রাখে না, আমাদেরকে মানসিক শান্তিও দেয়।তালাকপ্রাপ্ত বা আলাদা না হয়ে যারা ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত নির্বিঘ্নে দাম্পত্য সম্পর্ক চালিয়ে যেতে সক্ষমদের স্মৃতিশক্তি দীর্ঘায়িত হয়।
রবার্ট ওয়েলডিংগার বলেন, ৭৫ বছর ধরে আমাদের গবেষণায় এই বিষয়টি উঠে এসেছে, যারা প্রিয়জন, পরিবার, বন্ধু এবং সমাজের মানুষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখে তারা মানসিকভাবে সুখে থাকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন