সুন্দরবন ধ্বংস মানে কি হতে পারে জানেন?
“সুন্দরবন”- ঐন্দ্রজালিক এই সৃষ্টি ঠিক যেন এর নামের মতই সুন্দর। এখানেই রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সরীসৃপ প্রাণী। যাদের আবাসস্থল এই ঘন জঙ্গল। আলো-আধারে সবসময় এখানের প্রকৃতি মহিমান্বিত। আমাদের দেশের গৌরব এই সুন্দরবন। আসুন, সুন্দরবনের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জেনে নেয়া যাক-
১. পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন:
সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। এই অঞ্চলটি গাছপালা উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম। বিশেষ করে, লোনা পানির উপকূলীয় জলে গাছপালা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই, এখানে পৃথিবীর বৃহত্তম বনের সৃষ্টি হয়েছে।
২. বিশ্বের বৃহত্তম ডেল্টা বা ব-দ্বীপ:
এই দ্বীপমালা পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ বন। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র এই দুই নদীর সংমিশ্রণে সুন্দরবনের দ্বীপমালা গঠিত। যা বঙ্গীয় বদ্বীপ বা গ্রিন ডেল্টা নামে সুপরিচিত। এটি ভারতের ১,৩৩০ বর্গকিলোমিটার যায়গা জুড়ে বিস্তৃত। সুন্দরবনকে “ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট” হিসেবে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
৩. রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বসবাসের ঠিকানা:
সমগ্র বিশ্বের সবচেয়ে বড়, মহিমান্বিত এবং অগ্নিসদৃশ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বসবাস এই ঘন চিরহরিৎ ডেল্টা বনে। সারা বিশ্বের মধ্যে এখানে সবচেয়ে বেশি রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে।
৪. প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি:
বিশাল এই ম্যানগ্রোভ বন প্রকৃতির একক সৃষ্টি। গ্রীষ্মের সময় লাল ও হলুদ ফুলে বন ভরে উঠে। এ সময় অন্যান্য প্রভাবশালী পুষ্পশোভিত প্রজাতি পান্না দ্বীপের আশেপাশে দেখা যায়।
৫. সর্বদিকে সুন্দর দ্বীপ:
টেকটনিক বঙ্গীয় অববাহিকায় পার্থিব জেনেটিক লিঙ্কসহ সুন্দরবন গভীরতম, বিস্তৃত এবং সবচেয়ে সক্রিয় বদ্বীপ। সুন্দরবন কমপ্লেক্স ডেল্টার এবং তার আশেপাশের physiographical এবং geomorpholic গতিশীল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থা, প্লাবনভূমির আমানত এবং সমুদ্রতলের ব্যাপক নিঃসরণ বদ্বীপকে পর্যায়ক্রমে আরও উন্নত করছে।
৬. ভ্রমণ উপযোগী সময়:
এশিয়ার বৃহত্তম একক ম্যানগ্রোভ জলাভূমি হল সুন্দরবন। এই বিস্ময়কর দ্বীপে ভ্রমণ করার উপযোগী সময় হল সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস।
৭. ফটোগ্রাফারের নন্দন:
সুন্দরবনের নির্মেঘ জঙ্গলে পান্না দ্বীপের উপকূলের আলোকচিত্রি অসাধারণ। বনের ভেতর অসাধারণ কিছু পাখি যেমন- সাইবেরিয়ার ক্রেন, হলুদ দোয়েল, কাঠঠোকরা এবং বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি রয়েছে। আলোকচিত্রিরা এখানে এসে অসাধারণ ছবি ক্যাপচার করেন।
সুন্দরবনে সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিভিন্ন হিংস্র প্রাণীও রয়েছে। এদের থেকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। যারা ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করেন, তারা অবশ্যই সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারেন। এখানে ভ্রমণের মাধ্যমে আপনি অনেক আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
এই সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎ আমাদের কি দিবে বলতে পারবেন কি? বিদ্যুৎ প্রয়োজন, তাই বলে সুন্দরবন ধ্বংস করে কেন? এতটুকু কথা সবাই কেন বুঝে না?
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজিমপুরে বাসায় ডাকাতি, মালামালের সঙ্গে দুধের শিশুকেও নিয়ে গেছে ডাকাতরা
ঢাকার আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারে একটি বাসায় দিনে দুপুরে ডাকাতিরবিস্তারিত পড়ুন
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়াবিস্তারিত পড়ুন
ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস
উয়েফা নেশন্স লিগে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েবিস্তারিত পড়ুন