সুন্দরবন রক্ষার মিছিলে লাঠিচার্জ-টিয়ার শেল
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাওয়ার পথে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং বাম রাজনৈতিক দলের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় শটগানের গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত আন্দোলনকারী।
সুন্দরবন রক্ষার জন্য রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন চুক্তি বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে জাতীয় কমিটি।
এর আগে প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। সেখানে সুন্দরবনের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানান জাতীয় কমিটির নেতারা।
এর পর জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে যখন মিছিল শুরু হয়, তখন পুলিশ বাধা দেয়নি। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে বের হয়ে শাহবাগে এলে প্রথম পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হয় মিছিলটি। পরে পরীবাগে এসে আবারও পুলিশের ব্যারিকেডের সম্মুখীন হয় তারা। এ সময় ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে আন্দোলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আন্দোলনের একজন কর্মী বলেন, ‘জনগণ যখন মাঠে নামছে, তখন তারা ন্যক্কারজনকভাবে টিয়ার শেল ছুড়ে, লাঠিচার্জ করে জনগণের এ আন্দোলনকে নস্যাৎ করা চেষ্টা করছে।’
রমনা থানার উপকমিশনার মারুফ আহামেদ সরদার বলেন, ‘আমরা ব্যারিকেড দিয়েছি, তারা ব্যারিকেড ভেঙে আসছে। তারা দুইটা ব্যারিকেড ভেঙে আসছে। এর পর আমরা তাদের শাহবাগে আটকানোর চেষ্টা করেছি। আমরা তো অনেক ধৈর্য ধরছি। ধৈর্য ধরে শাহবাগে আটকানোর চেষ্টা করেছি, এখানেও আটকানোর চেষ্টা করেছি, তা-ও তারা শোনেনি, তারা আরো অ্যাডভান্স হতে চায়। ভিআইপি রোডের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, এখানে তো অনেক ভিআইপি চলাচল করেন এবং এটাই মনে হয় বাংলাদেশের প্রধান ভিআইপি রাস্তা, যেটা দিয়ে সবচেয়ে বেশি ভিআইপি চলাচল করে। এ রাস্তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা তাদের আর অগ্রসর হতে দিইনি। আমরা চেষ্টা করেছি এখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার।’
কিন্তু এভাবে সরকার পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
আরেক আন্দোলনকারী বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ হিসেবে যাঁরা দাবি করছেন, তাঁদেরও দায়িত্ব ছিল, আমরা তাঁদের কাছে প্রত্যাশা করেছিলাম, সুন্দরবনের ইস্যুতে জনগণের রায়কে তাঁরা মেনে নেবেন। কিন্তু আজকে তাঁরা যেভাবে নগ্নভাবে আমাদের ওপর হামলা করেছেন, টিয়ার শেল মেরেছেন, আমরা দেখতে পেলাম, তাঁরা আসলে জনগণের সস্পূর্ণ বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন।’
জনগণের নৈতিক ও নাগরিক অধিকারের কোনো তোয়াক্কা সরকার করছে না বলে মন্তব্য করেন আরেক আন্দোলনকারী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপকবিস্তারিত পড়ুন
দুই দফা কমার পর ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম
টানা দুই দফা কমার পর দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দামবিস্তারিত পড়ুন
চট্টগ্রামে দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিসের বহরের গাড়ি
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সড়কবিস্তারিত পড়ুন