বললেন আইনমন্ত্রী
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে আইন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু
সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগের জন্য আইন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বাংলাদেশ বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আজ রোববার সকালে সাব-রেজিস্ট্রারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘বিচারক নিয়োগের ব্যাপারে যে একটা আইন করার প্রয়োজন, সেটা কিন্তু আমি আগেও বলেছি। আমরা সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। সেটা আমার মনে হয় যে আগামী বছর থেকে হয়তো এই আইন কার্যকর করতে পারব।’
এ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা সংশোধন বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায়ের আগে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা সংশোধন বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ে নির্দেশ ছিল। সম্প্রতি সেই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এখন ওই ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না—জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো আমার অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছি, সরকারের অবস্থান এটা। এ মামলা খারিজ করার সময় আপিল বিভাগ বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের মাধ্যমে আমি শুনেছি, তারা কিছু সংশোধন করবেন। সেই সংশোধনী না আসা পর্যন্ত আমরা এখানে কোনো পদক্ষেপ নেব না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দুটি ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচিত হয়েছে। সাতক্ষীরার জবেদ আলী বিচারকের ভুলে ১৩ বছর কারাভোগ করেছেন। অন্যদিকে ভুল আইনে বিচার করায় সাতক্ষীরার আবদুল জলিল ১৪ বছর ধরে কারাভোগ করেছেন। এসব ঘটনায় বিচারকদের কোনো দুর্বলতা বা অপরাধ হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘দুটো ঘটনা আমি খবরের কাগজে দেখেছি, সেটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। বিচার বিভাগের ভুলত্রুটি হবে না, এমন নিশ্চয়তা তো আমি দিতে পারি না। কারণ, এটা তো মানুষ চালিত। কিন্তু চেষ্টা করা হবে এ রকম ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং করেন। এমন ঘটনা যদি চোখে পড়ে, আপনারা নিশ্চয়ই আমার গোচরে আনবেন। তাহলে আমি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেব। এতটুকু আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি।’
বিচারকদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—জানতে চাইলে আইমন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই, এটাই স্বাভাবিক। কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিউর (বিভাগীয় ব্যবস্থা) হবে। সেখানে যদি কোনো ফৌজদারি অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে মামলা হবে। আর যদি দেওয়ানি অপরাধ হয়, সেখানেও মামলা হবে।’
জ আইন ও সংসদবিষয়ক সচিব মো. শহিদুল হকের সভাপতিত্বে অর্ধশতাধিক সাব-রেজিস্ট্রারকে বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন