সুস্থ আত্মসমালোচনার মাধ্যমে ভারসাম্য আনতে চাইলে….
পরিমিত আত্মসমালোচনা ক্ষতিকর নয়। তবে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে তা দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এতে মানসিক ভারসাম্যহীনতা, ক্রনিক অবসাদ ও ব্যথা, এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। ইসরায়েলের বেন-গারিওন ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকার ইয়েল ইউনিভার্সিটির যৌথ গবেষণায় এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
তবে নিজেকে বুঝতে এবং শুধরে নিতে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় আত্মসমালোচনার কাজটি করা যায়। একজন সাইকোথেরাপিস্ট ও লাইফ কোচ বিষয়টি স্পষ্ট করতে আপনাদের জন্য কুইজ বানিয়েছেন। এর মাধ্যমে আদর্শ প্রক্রিয়ায় নিজেকে সামলে নিতে পারবেন।
কুইজ :
কেউ যখন আপনার দোষ-ত্রুটি তুলে ধরে তখন—
১. যদি মানুষটিকে স্রেফ বিদ্রূপকারী হিসেবে মনে করেন, তবে তার কথায় মাথা ঘামান না। ২. আপনার খুব অস্বস্তি হয়। সমালোচনা আপনার মনে প্রভাব ফেলে। ৩. বারবার ভাবেন, কী সমস্যার জন্য আপনাকে সবাই বিদ্রূপ করছে।
এখন নিজের পেশাজীবনটাকে নিয়ে ভাবতে পারেন—
১. কর্ম সংস্কৃতি নিয়ে আপনি যথেষ্ট সুখী। ২. আপনি অসুখী নন, অন্তত বেতন পাওয়ার দিনটি পর্যন্ত। কারণ বেতন তোলামাত্র মনে হয়, আরো বেশি পাওয়া উচিত। ৩. কম পারিশ্রমিক পান ভেবে প্রতিনিয়ত নতুন চাকরি খুঁজে চলেছেন আপনি।
একটা রাত বাইরে কাটালে যে বিষয়গুলো ঘটে—
১. চোখের সামনে যে পোশাকটা খুঁজে পান তাই পরে নেন। ২. আরামদায়ক কিছু বেছে নেন। ৩. স্মার্ট দেখাতে আপনি এক দিন আগে থেকে ভাবতে থাকেন কী পরবেন।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি—
১. সঙ্গী-সঙ্গিনীকে পূর্ণ সহায়তা দিতে আপনি বন্ধু-বান্ধবরা কী করেন তা পর্যবেক্ষণ করেন। ২. আপনারা সুখী। তবে মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটলে আপনি একটু ঘুরতে যেতে দ্বিধা বোধ করেন না। ৩. শেষবার কবে বিরক্ত হয়েছেন তা মনে করিয়ে দেন না আপনার সঙ্গী-সঙ্গিনী।
যখন আপনি ভুল করেন—
১. ক্ষণিকের জন্য চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং আর এ নিয়ে পড়ে থাকতে চান না। ২. প্রতিকারের চেষ্টা চালান। অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে তা দ্বিতীয়বার করতে চান না। ৩. আপনি খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। একটু স্বস্তির জন্য দূরে কোথাও ঘুরতে চলে যান।
কিছু লক্ষ্য রয়েছে আপনার। বিষয় যখন লক্ষ্য নির্ধারণের—
১. সব কিছুর জন্য লক্ষ্যস্থির করেন। এতে মনোযোগ ঢালতে ও উপায় খুঁজতে সুবিধা হয়। ২. যখন প্রয়োজন তখনই লক্ষ্য স্থির করেন। নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করে তবেই ঝাঁপিয়ে পড়েন। ৩. কোন আশা পূরণ হবে আর কোনটি হবে না তা বলা যায় না। কাজেই কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করেন না আপনি। প্রতিদিন প্রয়োজন বুঝে লক্ষ্য ঠিক করেন।
যখন কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয় আপনাকে—
১. বিষয়টি নিয়ে বারবার গবেষণা চালান। নিশ্চিতকরণে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়েও বিস্তর চিন্তা করেন। ২. কারো সাহায্য বা সহায়ক কিছু পাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। সে অনুযায়ী নিজেকে পরিচালিত করেন। ৩. কম সময়ের মধ্যে বহু মানুষের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করেন।
কুইজ যা বলে আপনার সম্পর্কে :
১. ওপরের পয়েন্টগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যদি আপনার বিষয়টি এক (১) নম্বরটি হয়, তাহলে আপনি আশাবাদী। নিজের প্রতি আপনার ভালোবাসা রয়েছে। ২. যদি আপনার বিষয়গুলো দুই (২) নম্বরটি হয়ে থাকে, তাহলে জীবন ও নিজ সম্পর্কে আপনার আশাবাদ খুবই সুখকর। ৩. যদি আপনার পয়েন্ট তিন (৩) নম্বরটি হয়ে থাকে, তবে অন্যের সমালোচনায় আপনার তেমন কিছু ঘটে না। অন্যের পরামর্শ পেতে আপনি আগ্রহী। ফলে সহকর্মী হিসেবে আপনি আদর্শ। তবে আত্মবিশ্বাস আপনার অনেক কম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন