সেই অপহৃত অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর নবজাতক অপহরণ!
যশোরে গৃহকর্তার লালসার শিকার অন্তঃসত্ত্বা স্কুল ছাত্রীটি অপহরণের ৯দিন পর অসুস্থ অবস্থায় ফিরে এসেছে। নির্দিষ্ট সময়ের এক সপ্তাহ আগে সিজারের মাধ্যমে তার প্রসব ঘটিয়ে কিশোরীকে ঢাকার গাবতলী এলাকায় রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে গর্ভের সন্তানের কোনো খোঁজ মেলেনি।
ছাত্রীটির কান্নাকাটির এক পর্যায়ে রোববার সকালে স্থানীয়রা বেনাপোলের বাসে তুলে দেয় তাকে। বিকেলে সে বেনাপোলে এসে পৌঁছায়। বর্তমান সে বেনাপোলে মামার বাড়িতে অবস্থান করছে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি নিজ এলাকা ঝিকরগাছা থেকে পালিয়ে এসে যশোর শহরের বারান্দীপাড়ায় বসবাস করতো। গত ২৩ অক্টোবর মেয়েটি অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর ছাত্রীর মা বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। আর ধর্ষণের পর দ্বারে দ্বারে বিচার চেয়ে না পেয়ে গত ২০ অক্টোবর অভিযুক্ত দাউদ সরদারকে আসামি করে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল যশোরে মামলা করা হয়। মামলার নম্বর পিং-২২৮/১৫।
উদ্ধার হওয়া ভিকটিমের উদ্ধৃতি দিয়ে তার মামা জাকির হোসেন জানান, অপহরণের পর কে বা কার মেয়েটিকে ঢাকায় নিয়ে একটি বাড়িতে রেখে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করিয়েছে কয়েক দিন আগে। শনিবার রাতে অপারেশনের স্থানের সেলাই কেটে দেয়া হয়। এরপর গভীর রাতে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার গাবতলী এলাকায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ভোরে মেয়েটির কান্নাকাটি দেখে সেখানকার লোকজন বেনাপোলগামী বাসের টিকেট কেটে তুলে দেয়। রোববার বিকেলে মেয়েটি বেনাপোলে এসে পৌঁছেছে।
যশোর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য জানান, মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেছে। সিজারের মাধ্যমে প্রসব করিয়ে তাকে ফেলে রেখে গেছে। সন্তানের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঝিকরগাছা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছি। মেয়েটি আগে সুস্থ হয়ে উঠুক। এ ঘটনায় আমরা হাল ছাড়ছি না। আইনি লড়াইয়ে মেয়েটির পাশে থাকবে মহিলা পরিষদ।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্যা খবির আহমেদ জানান, মেয়েটির মামার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন মেয়েটিকে পাওয়া গেছে। তাদের থানায় আসতে বলেছি। তিনি আরও জানান, ধর্ষণের মামলার তদন্ত চলছে। মামলার আসামি দাউদ সরদার হজে গেছেন। এখনও তিনি ফেরেননি।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বাকুড়া গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা ওই স্কুলছাত্রী বাড়ির পাশের দোকানে পুরি (খাবার) কিনতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়। অজ্ঞাতনামা লোকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। মেয়েটির মা দাবি তোলেন, ধর্ষক প্রভাবশালী হাজী দাউদ সরদার ও তার লোকজন তাকে অপহরণ করে গুম করেছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন