সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিবিসির প্রতিবেদন

সেই খাদিজা এখন হাঁটাচলা করেন, মিষ্টি হাসিমাখা মুখে বললেন ‘ভাল আছি’

মিষ্টি হাসিমাখা মুখখানির ছবিটি ফেসবুকে দেখে আগ্রহী হয়ে উঠি। গত বছরের ৩রা অক্টোবরের পর খাদিজা বেগমকে বা তার ছবি যারা দেখেছেন, তারা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেননি, খাদিজা আবার কোনদিন এমন মিষ্টি করে হাসবেন।

তাকে উন্মত্তের মতো কুপিয়েছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম।

দূর থেকে অনেকেই সেটির ভিডিও করেছিল। কিন্তু কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। এরপর দীর্ঘদিন খাদিজা ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ছিল জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অথচ এই ছবিটি মোটে দিন তিনেক আগে তোলা। তার ভাই শারনান হক শাহীন ছবিটি তুলে ফেসবুকে দিয়েছেন। ঢাকার কাছে সাভারের সিআরপিতে ছবিটি তোলা। সেখানেই এখন চলছে খাদিজার পুনর্বাসন। টেলিফোনে আমার কথা বলার সুযোগ হয় খাদিজার সাথে।

আজকে তোলা ছবি

জানতে চাই, কেমন আছেন?

“মোটামুটি ভাল আছি”। ছোট্ট উত্তর।

শুনতে পেলাম আপনি এখন হাঁটাচলা করতে পারেন, ঘুরতে-টুরতেও যাচ্ছেন এখানে সেখানে?

“এইতো একটু। বেশী না”।

কি কষ্ট আপনার আছে এখন?

“বাম হাতে আর বাম পায়ে”।

ছোট ছোট বাক্যে এক দু-কথায় জবাব সারছিলেন তিনি।

খাদিজার ভাই শারনান হক বলছেন, ডাক্তার আর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছাড়া আর কারো সাথে কথা বলতে চান না খাদিজা।

মি. হকের ফোনেই কথা হচ্ছিল।

তিনিই সিআরপিতে খাদিজার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। তিনি চীনের বেইজিংয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্র। শীতকালীন ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছেন।

স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া, পড়াশোনা এগুলো এখন একটু একটু করতে পারেন বলে জানালেন খাদিজা।

তবে বেশীরভাগ সময়েই তার কাটে ডাক্তারদের থেরাপি কক্ষে নয়তো বিছানায় শুয়ে।

এভাবে বেশীরভাগ সময় শুয়ে বসে কাটান বলে খুবই ‘বোর’ হচ্ছেন তিনি, তাই বিকেলবেলা তাকে দেয়া হচ্ছে সিআরপির কম্পাউন্ডে ঘুরে বেড়ানোর অনুমতি।

আর গত সোমবার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করার পর তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সিআরপি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায়।

খাদিজার কাছে জানতে চাই, যেদিন তাকে কোপানো হয়েছিল সেদিনকার কথা মনে আছে তার?

খাদিজা বললেন, ‘কিছু মনে নেই’। তারপর পাশে বসা ভাইয়ের হাতে ফোনটি দিয়ে দিলেন।

এখানেই শেষ খাদিজার সঙ্গে আমার আলাপচারিতা।   খাদিজার ভাই মি. হক জানাচ্ছেন, ওই ঘটনা নিয়ে কথা বলতে চান না খাদিজা।

কিন্তু আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি সিলেটের আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার কথা আছে তার।

সেই দিনকে সামনে রেখে সিআরপি কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে তাকে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার একটি তোড়জোড় আছে।

সেখানে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে খাদিজাকে হয়তো সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিতে হবে।

ওদিকে মি. হক বললেন, ওইদিনের কথা বললে খাদিজার ‘ডিপ্রেশন’ হয়।

সে কবে নাগাদ পুরোপুরি সুস্থ হবে সেই দিনক্ষণ এখনো নিশ্চিত করেনি সিআরপি।

তবে পুরো সুস্থ হলে খাদিজা আবার তার লেখাপড়ার জীবনে ফিরে যেতে চান সেই কথাটা আলাপচারিতার এক ফাঁকেই তিনি জানিয়েছিলেন আমাকে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন

সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেঞ্চুগঞ্জে  দুটি বগি লাইনচ্যুতবিস্তারিত পড়ুন

সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে

গত কয়েকদিনের অবিরত হালকা ও ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি এবং ভারতবিস্তারিত পড়ুন

  • অনাবৃষ্টি, তীব্র রোদে সংকটে সিলেটের চা-বাগানগুলো
  • সিলেটে বন্যার উন্নতি হলেও পিছু ছাড়ছে না দুর্ভোগ
  • সিলেটে দোকানে দোকানে পানি, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
  • সিলেটে মৃদু ভূমিকম্প
  • সিলেটে ঢলের পানিতে শিশুসহ চার ও বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু
  • ১০ ঘণ্টা পর সিলেটের পথে রেল চলাচল শুরু
  • ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে সিলেটে হিন্দু মহাজোট নেতা গ্রেপ্তার
  • বিয়ের প্রথম রাতে বর নিখোঁজ, সারা রাত একা বাসরঘরে বসে আছে নববধূ !! এলাকায় তোলপাড় চলছে ..
  • স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, ৩ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি
  • স্বামীর সহযোগিতায় চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণের পর হত্যা!
  • আতিয়া মহলের ২ মামলায় পিবিআই’র তদন্ত শুরু
  • সিলেটে মা-মেয়েকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, যুবক গ্রেপ্তার