নিজের ভুলে নিজেই ফেঁসে গেলেন ইতালীয় এক নারী। ইন্টারনেটে নিজের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও মোছার অধিকার না পেয়ে লজ্জায়, অপমানে শেষমেশ আত্মহত্যা করলেন তিজিয়ানা কন্তে নামের ঐ নারী।

বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনেন তিজিয়ানা কন্তে। লজ্জায়, অপমানে আত্মহত্যা করলেন একত্রিশ বছরের ইতালীয় কন্তে।

প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড এবং আরও তিন পুরুষের সঙ্গে ঐ নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওটি রেকর্ডিং করা হয়। সেই ভিডিওটি নিজেই তার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড ও বাকি তিন পুরুষের কাছে পাঠান ওই নারী। শুধু তাই নয়, নিজেও ইন্টারনেটে আপলোড করেন ভিডিওটি। আর বিপদ শুরু সেখান থেকেই। ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি।

ভিডিওটি দেখেন কমপক্ষে দশ লক্ষ মানুষ। লক্ষ লক্ষ লাইক পড়ে ভিডিওটিতে। ভিডিওটি আপলোডের সময় লিখে দেওয়া হয় নারীর কথা। ভিডিওটি রেকর্ডিংয়ের সময় তিজিয়ানা কন্তে তার শয্যাসঙ্গীদের বলেছিলেন, “আমাদের এই অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলো কি রেকর্ডিং করা হচ্ছে? ব্রাভো।”-তাঁর এই কথাটিই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই নিজের ভুল বুঝতে পারেন তিনি। কোর্টে মামলা করেন তিনি।

ভুলে যাওয়ার অধিকার সংক্রান্ত মামলাটি জেতেন কন্তে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে ভিডিওটি মুছে ফেলতে বলে আদালত। তবে তার জন্য কন্তেকে ২০ হাজার ইউরো দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

কিন্তু এই পরিমাণ অর্থ দেওয়ার ক্ষমতা নেই কন্তের। লজ্জায় নেপলস থেকে টুসকানে পালিয়ে আসেন তিনি। নিজের নাম বদলে ফেলার চেষ্টা করেন। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে নেপলসের কাছে তার চাচীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় কন্তের দেহ।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়ে দেয়, আত্মহত্যা করেছেন কন্তে। এদিকে মেয়ের অন্ত্যেষ্টির সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা। সাদা কফিনবন্দি কন্তের দেহ যখন শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন চোখের পানি বাধ মানছিল না তার। কন্তের আত্মহত্যার পর ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে। ইন্টারনেট থেকে ভিডিও মুছে ফেলার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বহু মানুষ। তবে কন্তের ভুল নিয়েও চর্চা কম নয় ইতালিজুড়ে। সূত্র:বাংলাদেশ প্রতিদিন