সেফহোমে থাকা তরুণীকে ধর্ষণ : আদালতে মামলা

রাজশাহীতে এবার সেফহোমে থাকা এক তরুণীকে পুলিশের সহায়তায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত সোমবার রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এ মামলা করেছেন ওই তরুণীর বাবা। ওই মামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মনসুর আলম মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া এলাকার স্কুল পড়ুয়া ওই তরুণী একই এলাকার জয়নাল নামে যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তারা পরিবারকে না জানিয়ে বিয়েও করে। কিন্তু তরুণীর পরিবার এই বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকার করে।
বিষয়টির একপর্যায়ে মেয়েটি ও তার বাবা জয়নালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। এরপর মেয়েটির নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে সেফহোমে রাখার নির্দেশ দেন আদালত। ফলে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বায়া সেফহোমে রয়েছে মেয়েটি।
এদিকে মেয়েটির বাবার দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জানুয়ারি হাজিরা দেওয়ার জন্য তার মেয়েকে সেফহোম থেকে আদালতে নেওয়া হয়। হাজিরা শেষে ভিকটিমকে আদালত পরিদর্শক রুহুল আমিন এবং কনস্টেবল খোরশেদাসহ কয়েকজন অজ্ঞাত কনস্টেবলের সহযোগিতায় আদালতের পার্শ্ববর্তী নগরীর বুলনপুর এলাকায় এক পুলিশ সদস্যের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অভিযুক্ত জয়নাল তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন। একই কায়দায় তাকে এর আগেও ১৪ জানুয়ারি ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে এঘটনা জানাজানি হলে গত ২৪ জানুয়ারি সেফহোমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তরুণীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তরুণীর বাবা গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করতে যান। কিন্তু পুলিশ মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে যোগাযোগ করা হলে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান।
তবে অপর একটি সূত্র জানায়, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর তাকে বিয়ে করেছে জয়নাল। একটি মামলায় স্ত্রী সেফ কাস্টডিতে রয়েছে। পুলিশকে হাত করে আসামি জয়নাল স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। আর তাকে এ কাজে সহায়তা করেন কনস্টেবল মাসুদ রানা এবং কনস্টেবল খোরশেদা। এ কাজে কনস্টেবল খোরশেদার বুলনপুর এলাকার বাড়িটি ব্যবহার করা হয়।
এ বিষয়ে বায়া সেফহোমের উপ-তত্ত্বাবধায়ক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ বলেন, আদালতে হাজিরা শেষে সেফহোমে ফিরে ঘটনাটি মেয়েটি নিজেই আমাকে জানায়। পরে আমি তাকে এ বিষয়ে লিখিত চাইলে সে তাও দিয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে জানানো হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন