সেলিম ওসমান অসুস্থ, চার্জ শুনানি হল না
ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে স্কুল শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার মামলায় সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান অসুস্থ বলে চার্জ গঠন শুনানি হয়নি। এ নিয়ে দুইটি তারিখে একই কারণে শুনানি পিছিয়েছে।
আজ রবিবার ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরা বেগম সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২২ অক্টোবর শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এ মমলার আরেক আসামি অপু আদালতে হাজির ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল বলেন, আসামি একজন সাংসদ। তার কিডনী ও হৃদরোগের কারণ দেখিয়ে সময় প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু, আদালতে তার অসুস্থতার স্বপক্ষে কোনো এমসি (মেডিক্যাল সার্টিফিকেট) দাখিল করা হয়নি। মামলাটির বিচার বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন আসামি পক্ষ। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩/৩৫৫/৫০০ ধারার অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়। তবে চার্জ গঠনের দুইটি ধার্য তারিখে একই কারণে শুনানি করা গেল না।
গত বছরের ১০ আগস্ট শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানধরে উঠবস করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান জড়িত কি না সে বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। আদেশে বলেন, কান ধরে উঠবসের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই মর্মে পুলিশের প্রতিবেদনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা হয়নি। পুলিশের প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য।
বিচার বিভাগীয় তদন্তের পর দাখিল করা প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে গত ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে ঢাকার আদালতে বিচারের জন্য বদলি করেন। একইসঙ্গে ঘটনার তদনে্ত উঠে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা বিচারের জন্য নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন।
বিচারপতিদ্বয়ের দেওয়া আদেশে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন নিরপেক্ষ ও বৈষম্য ছাড়া প্রয়োগ করা। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন, সবাই আইনের অধীন এটি আইনের শাসনের মর্মবাণী। বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা ওই ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। বিচারের স্বার্থে এটি যথাযথ বলে প্রতীয়মান হয়।
প্রসঙ্গত, স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন অভিযোগ তুলে গত বছরের ১৩ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এলাকাবাসীকে স্কুলের মাঠে জড়ো হতে অনুরোধ জানানো হয়। স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে ওইদিন উপস্থিত জনতার সামনে ওই শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি পরে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশিত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের এই সদস্য কোনো ‘ভুল করেননি’ দাবি করে ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনায় সেলিম ওসমান জড়িত কি না তা উদঘাটনের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন