সোনা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন এসআই আশরাফুল
বনানীর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম পুরনো ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় সোনা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের এক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ওই সূত্রটি আরো জানায়, পেশাগত কাজে বনানী থানা এলাকায় থাকার কথা এসআই আশরাফুলের। কিন্তু কেন তিনি বংশাল থানা এলাকায় এলেন, তার তদন্ত চলছে।
এ ছাড়া তিনি ছিনতাই না অন্য কোনো উদ্দেশ্যে বা কারো নির্দেশে এখানে এসেছিলেন কিনা, তারও তদন্ত চলছে।
এক তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার রাতে এসআই আশরাফুল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সোর্সের তথ্য পেয়ে তিনি বংশাল থানার ফুলবাড়িয়ায় আসেন।
এ ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
মঙ্গলবার রাতেই এসআই আশরাফুলসহ অপর দুই আসামি সোনা বহনকারী রেজাউল করিম ও পুলিশের সোর্স আব্দুর রাজ্জাককে থানায় আনা হয়। প্রথমে তাদের এক সঙ্গে রাখা হলেও রাতের দিকে আলাদা কক্ষে নিয়ে আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
থানার একটি সূত্র বলছে, এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের শীর্ষ মহল সন্দেহ করছেন। এ কারণে ঘটনার পর থেকে আশরাফসহ এ ঘটনায় যে কেউ জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া।
কেন না এর আগেও রামপুরায় সোনার বারসহ পুলিশের এক সদস্য গ্রেফতার হন। সে সময় এ ঘটনায় পুলিশে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। দুটি ঘটনার যোগসূত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। তবে রিমান্ডের প্রথম দিন হওয়ায় এসব বিষয় নিয়ে এখনও আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
পুলিশে নিয়ম আছে, কেউ অন্য থানা এলাকায় গেলে ওই এলাকার কিংবা নিজের থানার ওসিকে জানাতে হবে। কিন্তু আশরাফ তার কোনটিই করেননি বলে প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
অপরদিকে সোনা বহনকারী রেজাউল করিম কী করেন; কীভাবে ঢাকায় এলেন; তিনি আসলেই সোনা ব্যবসায়ীকে কিনা; এসআই আশরাফের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টিও তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোনা ছিনতাই ও পাচারে দুটি মামলারই তদন্ত করছেন ওসি (তদন্ত) নাসিরউদ্দিন। বুধবার বিকেলে তিনি বলেন, রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে এসআই আশরাফুল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গ, সোমবার রাতে তাঁতীবাজার থেকে রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি প্রায় ৯শ’ গ্রাম সোনা নিয়ে যাচ্ছিলেন যশোরে। তিনি ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের একটি হোটেলের সামনে আসলে এসআই আশরাফুল তার সোর্স আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে তার গতিরোধ করে। এ সময় ওই ব্যক্তির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং তাদের আটক করে। পরে বংশাল থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তাদের আটক করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন