সোনু নিগমকে পাগলা গারদে পাঠাতে বললেন রাখি
এতদিন সানি লিওনকে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা মনে করতেন বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। কারণ সাবেক পর্নতারকা সানি লিওন যেভাবে পর্দার সামনে সাবলীলভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন তা অন্যদের জন্য একটু কঠিনই হয়ে যায়। যদিও পোশাকের ক্ষেত্রে রাখিও যথেষ্ট খোলামেলা, কিন্তু সানির অভিব্যক্তির কাছে যেন পাত্তাই পাচ্ছিলেন না রাখি। তাই সানি একের পর এক ছবিতে ডাক পেলেও রাখির বাজার ক্রমেই কমছিল। এ কারণে একাধিকবার সানিকে নিয়ে সরব হয়েছেন রাখি সাওয়ান্ত। প্রকাশ্যে নানা নোংরা ভাষায় সানিকে আক্রমন করেছেন। এবার রাখির আক্রমনের শিকার হলেন গায়ক সোনু নিগম। তবে এবার অবশ্য রাখির এ আক্রমনকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ বলেছেন, রাখি উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করলেও সোনুকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ধর্মনিরপেক্ষতার জায়গা থেকে।
ইস্যু যাই হোক না কেন, কোনো কিছু নিয়ে মন্তব্য করতে কোনোদিন পিছপা হন না রাখি সাওয়ান্ত। নিজ মহিমা বজায় রেখে এবার তিনি মুখ খুললেন আজান বিতর্কে। আজানে লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়ে মুখ খোলার অপরাধে সোনু নিগমকে পাগলাগারদে পাঠাতে চান তিনি। নিজের ভাইয়ের অভিনয় শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করতে আগ্রা গিয়েছিলেন রাখি। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি। সোনুর উদ্দেশে রাখির কটাক্ষ, কলিযুগে লোকজন আজানের আওয়াজ আর মন্দিরের ঘণ্টাকে প্রয়োজনীয় মনে করেন না। আর যখন নিজের শোয়ের জন্য সারারাত ধরে গানবাজনা করতে থাকেন তখন কারও অসুবিধা কি হয় না?
রাখি বলেন, আমি মনে করি না কোনো মন্দির বা গুরুদ্বারে বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার এমন কোনো মানুষকে জাগানোর জন্য করেন, যারা সেই ধর্মকে অনুসরণ করেন না। আজানের মাধ্যমে দুষ্ট আত্মারা পালিয়ে যায়। কে জানে কত দুষ্ট আত্মা সোনু নিগমের অন্দরে রয়েছে? বলিউড গায়ককে অবিলম্বে পাগলাগারদে পাঠানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। এপ্রিল মাসে নিজের বাসস্থানসংলগ্ন মসজিদে আজানের শব্দ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন সোনু। তিনি অভিযোগ করেছিলেন ভোররাতে বাধ্য হয়ে এই আজানের শব্দে তাঁকে ঘুম থেকে উঠতে হয়। কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না করে মসজিদ বা গুরুদ্বারে লাউডস্পিকার বন্ধ করার দাবি তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর এ মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে দেশ জুড়ে। মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে গায়ক সোনু নিগমের ওপর ফতোয়াও জারি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু ইউনাইটেড কাউন্সিলের সহসভাপতি তথা মৌলবি সৈয়দ শাহ আতেফ আলি আল কাদরি।
হুমকি দিয়েছিলেন, সোনুর মাথা কামিয়ে গলায় একজোড়া ছেড়া জুতোর মালা পরিয়ে গোটা দেশে ঘোরাতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা ইনাম দেবেন। ইমামের ফতোয়ার যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন সোনু। নিজেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন। তারপর দাবি করেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ আলিম ভাইকে যেন ওই ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। সোনুর এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছিলেন বলিউড অভিনেতা অনুপম খের থেকে রিচা চাড্ডারা। উল্টো দিকে ওয়াজিদ খান, মিকা সিংরা এ প্রসঙ্গে সোনুর সমালোচনাই করেছিলেন। পরে সোনু নিজে আবার আজানের ভিডিও তুলে পোস্ট করেছিলেন। অবশ্য এরপর আর তা নিয়ে খুব একটা হইচই হয়নি। সম্প্রতি সে বিতর্ক ফের উসকে দিলেন রাখি সাওয়ান্ত।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন