সৌদি প্রবাসীদের টাকায় ‘জামায়াতলীগ’ নেতার বিলাসী জীবন!
প্রবাসী শ্রমিকদের দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে সৌদি আরব থেকে দেশে পালিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতা শিরতাজ আহমেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়েছে, এসব টাকা দিয়ে দেশে এসে গড়ে তুলেছেন ব্যবসা-বাণিজ্য, করছেন বিলাসী জীবনযাপন এবং ভোল পাল্টে ভিড়ে গেছেন সরকার দলীয়দের সঙ্গে।
সম্প্রতি ভুক্তভূগিদের কাছ থেকে এসব অভিযোগ এলে তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতিমধ্যে অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি আগামী রোববার বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য কাজ শুরু করবেন বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, সিলেট সুনামগঞ্জের বাসিন্দা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার ছেলে শিরতাজ আহমেদ। তিনি সৌদি আরবের খামিছ এলাকায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে ডায়নামিক মিশন লি. নামে একটি সমিতি গড়ে তোলেন। নিজেই নিজেকে সেই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ট করেন এবং ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধুকে রাখেন সেই কম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে। বাকিদের দেন সাধারণ পরিচালকের পদ। সেখানে বছরে দ্বিগুণ লভ্যাংশ দেয়ার কথা বলে ২৮ শ্রমিকের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ লাখ টাকা জমা নেন।
এভাবে দেড় কোটি টাকা সংগ্রহ করে ২ বছর আগে দেশে পালিয়ে আসেন শিরতাজ আহমেদ (পাসপোর্ট নম্বর : ১৯৭৮৯০১৮৯৩৬০০১২২৫)। দেশে এসে নিজ ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে গড়ে তুলেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে বিলাসী জীবন-যাপন। অপরদিকে কষ্টার্জিত সঞ্চয় হারিয়ে দিশেহারা শ্রমিক এবং দেশে থাকা তাদের পরিবারের সদস্যরা। চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে তাদের। পরে সেই সৌদি আরবস্থ সেই ভুয়া কম্পানির পরিচালকরা তথা ভুক্তভুগিরা বারবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেন না। আবার ধরলেও দুর্ব্যবহার করেন।
অভিযোগে আরো বলা আছে, শিরতাজ আহমেদ জামায়াতে ইসলামী সৌদি শাখার রুকন (সদস্য) ছিলেন। পরে ভোল পাল্টে ভিড়ে গেছেন সরকার দলীয়দের সঙ্গে। শিরতাজ আহমেদ ইসলামী ব্যাংকের সুনামগঞ্জ শাখায় কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে ব্যক্তিগত গাড়ি কিনে ভাড়া খাটাচ্ছেন। দোকান কিনেছেন। স্থানীয়ভাবে তাকে যাতে কিছু করা না যায় এ জন্য দেশে ফিরেই জামায়াত নেতা হয়ে গেছেন আওয়ামী লীগ নেতা। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদ না পেলেও নিজের ব্যবসা-বাণিজ্যে যুক্ত করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের। ফলে স্থানীয় প্রশাসনও তাকে কিছু বলছে না।
সম্প্রতি কয়েকজন আমানতকারী ও পরিচালক দেশে এসে অর্থ ফেরত চাইলে উল্টো তাদের ইমিগ্রেশন পুলিশ দিয়ে আটকে দেয়ার ভয় দেখান বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘এক বাংলাদেশি সৌদি প্রবাসীদের টাকা আত্মসাৎ করে দেশে পালিয়ে এসেছেন দুদকের কাছে অভিযোগ এসেছে। অভিযোগটির অনুসন্ধানও শুরু হয়েছে। তাই এই বিষয়ে আর কিছু মন্তব্য করা যাবে না। অনুসন্ধান শেষ হলে জানতে পারবেন।’ বাংলামেইল
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন
কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন
উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন