স্কুলছাত্রকে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন, পুলিশ সদস্য আটক
রাজশাহীর বাঘায় মোবাইল চুরি অভিযোগ এনে এক স্কুলছাত্রকে পায়ে দড়ি বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনকারী তিনজন পরস্পর ভাই। আহত অবস্থায় স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা।
সোমবার সকালে উপজেলার নারায়ণপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে বাঘা থানা পুলিশ নির্যাতনকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করেছে। তিনি হলেন পুলিশ সদস্য হাফিজুল ইসলাম ওরফে জিল্লুর। বাকীরা পলাতক রয়েছে।
নির্যাতনের শিকার স্কুল ছাত্র মনিরুল ইসলাম নারায়ণপুর গাওপাড়া গ্রামের মিঠু আলীর ছেলে এবং বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার পর থেকে পুলিশ অপর দুই ভাইকে খুঁজছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চকছাতারী গ্রামের হারান প্রামাণিকের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, তার ভাই পুলিশ সদস্য হাফিজুল ইসলাম ওরফে জিল্লুর ও অপর ভাই মহিদুল ইসলাম নারায়ণপুর মাছ বাজার থেকে স্কুলছাত্র মনিরুলকে টেনে হিঁচড়ে নারায়ণপুর বাজারের বিপ্লব আলীর স’মিলের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে মনিরুলকে মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে মনিরুলের পায়ে দড়ি বেঁধে আনোয়ার হোসেনের মোবাইলের দোকানের বাঁশের আড়ার সঙ্গে উল্টা করে টানিয়ে তাকে পেটানো হয়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে স্কুলছাত্র মনিরুলকে উদ্ধার করে।
এদিকে, এই নির্যাতনের খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে নির্যাতনকারী জাহাঙ্গীর, হাফিজুল ও মহিদুল পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে বাঘা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্র মনিরুল ইসলাম জানায়, সোমবার সকালে নারায়ণপুর বাজারের মাছ বাজার থেকে ওরা তিনজন তাকে ধরে নিয়ে আনোয়ারের মোবাইলের দোকানের বারান্দার বাঁশের আড়ার সঙ্গে উল্টো করে বেঁধে মারপিট করতে থাকে এবং মোবাইল চুরির কথা বলে। সে তাদের মোবাইল নেয়নি বলে জানালেও তারা তাকে পা বেধে মারপিট করে। পরে ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করে।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কৌশিক রায় জানান, মনিরের পায়ে দড়ি দিয়ে বাঁধার এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যখমের চিহৃ আছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মাহমুদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। নির্যাতনকারীরা তার আগেই পালিয়ে যায়। পরে বিকেলে নির্যাতনকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি হলেন পুলিশ সদস্য হাফিজুল ইসলাম জিল্লুর। বাকিরা পলাতক আছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আল্টিমেটাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিগত ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেবিস্তারিত পড়ুন
সংঘর্ষের ঘটনায় রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা, গ্রেপ্তার ১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেবিস্তারিত পড়ুন
স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ২০
বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গেবিস্তারিত পড়ুন