সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

স্কুলে শিক্ষার্থীদের মায়েদের পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা

শ্রীলঙ্কার কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের মায়েরা কি ধরনের পোশাক পরে স্কুলে আসতে পারবেন তার জন্যে সেসব স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি ড্রেস-কোড বেঁধে দিয়েছিলো।

এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর সরকার তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

সরকার বলছে, কোন স্কুলই অভিভাবকদের জন্যে এধরনের নির্দেশনা জারি করতে পারবে না।

প্রথমে একটি নামকরা স্কুলে এই ড্রেস-কোড চালু করা হয়। স্কুলের সামনে একটি পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয় যেখানে ছবিসহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়ে ছাত্রছাত্রীদের মায়েরা কি ধরনের পোশাক পরে স্কুলে আসতে পারবেন।

এই স্কুলে মূলত উচ্চবিত্তের সন্তানরাই লেখাপড়া করে।

ওই নোটিসে দেখা যায় মায়েরা শাড়ি কিম্বা ঢিলেঢালা পোশাক পরে স্কুলে আসতে পারবেন। কিন্তু স্কার্ট বা হাতা-কাটা জামা পরে স্কুলে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

খোলামেলা পোশাক পরে এলে স্কুলের ছেলেদের অনুভূতিতে পরিবর্তন আসতে পারে এই আশঙ্কায় স্কুলের তরফে এই ড্রেস-কোড নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

এই নিয়ম চালু করার পর অভিভাবকদের পক্ষ থেকে প্রচুর অভিযোগ আসে ও সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।

শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে এধরনের ড্রেস-কোড চালু করা হয়েছিলো। সে অনুযায়ী পোশাক না পরে আসার কারণে অনেক মাকেই স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

দেশটির শিক্ষামন্ত্রী আকিলা কারিয়াওয়াসাম বিবিসিকে বলেছেন, এরপর বহু অভিভাবক বিশেষ করে মায়েরা এই বিধিনিষেধের ব্যাপারে তার কাছে অভিযোগ করেছেন।

তিনি বলেছেন, “অভিভাবকরা কি পরে স্কুলে আসবেন স্কুল সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।”

“এই ড্রেস-কোডের জন্যে মায়েরাই সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। কারণ বেশিরভাগ কর্মজীবী নারী সবসময় শাড়ি পরেন না। তাদের কারো কারো ইউনিফর্ম আছে যা পরে তাদেরকে কাজে যেতে হয়।”

“ফলে বাচ্চাদের শুধু স্কুলে দিতে আসতে গেলেই তারা শাড়ি পরতে বাধ্য হচ্ছেন। পরে আবার পোশাক বদলে তাদেরকে কাজে যেতে হচ্ছে,” বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবিষয়ে তিনি সব স্কুলের প্রধান শিক্ষককে একটি সার্কুলার পাঠিয়েছেন যেখানে বলা হয়েছে পিতামাতারা কী পরে স্কুলে আসবেন সেবিষয়ে স্কুলের বলার কিছু নেই।

তিনি বলেন, সব মা-ই জানেন কী কাপড় পরে স্কুলে যেতে হয় বা হয় না।

রাজধানী কলম্বোর সেন্ট জোসেফ কলেজে গত সপ্তাহে ড্রেসকোডের পোস্টারটি লাগানো হয়েছিলো।

সেখানে বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরিহিত ১৬ জন নারীর ছবি তুলে ধরা হয়েছে। এর কোনটার পাশে টিক চিহ্ন দেওয়া আবার কোনটার পাশে ক্রস বা কাটা চিহ্ন।

আরো একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি স্কুল সেন্ট পিটার্স কলেজেও গেটের সামনে প্রায় একই ধরনের ড্রেস-কোড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

“এটা ছেলেদের স্কুল। ফলে মহিলাদের বোঝা দরকার কি তাদের পরা উচিত আর কি পরা উচিত নয়,” বলেন স্কুলের একজন কর্মকর্তা।

এরপর সোশাল মিডিয়ায় এর তীব্র সমালোচনা হয়।

ফেসবুকে একজন লিখেছেন, “তারা কি বুঝতে পারে না যে আমরা একটা গরম আবহাওয়ার দেশে বাস করি। তাহলে শিক্ষার্থীদের পিতার জন্যে ড্রেস-কোড কোথায়?”-বিবিসি বাংলা

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ