‘স্টেজে ওঠার পর চারদিকে শাকিব শাকিব’!
আজ সকালে কলকাতা থেকে ফিরেই সরাসরি এফডিসিতে ‘অহংকার’ ছবির সেটে আসেন ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান। দিনভর শুটিং করছেন তিনি। এর আগে গত সোমবার কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় দুটি শোতে অংশ নেন গত সোম ও মঙ্গলবার। ২৯ জানুয়ারি আসাম, ৩০ জানুয়ারি কলকাতা ও ৩ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুরে এই তিনটি শোতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে জানান শাকিব খান।
কলকাতা থেকে কখন ফিরলেন?
আমি আজ সকালেই ঢাকা ফিরেছি। বাসায় আর যাওয়া হয়নি। আজ সারাদিন এফডিসিতে শুটিং করে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরব। বেশ ধকল গেছে। আগামীকাল তো শুক্রবার, ছুর দিন। একটু রেস্ট নেব।
পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় শো করতে গিয়েছিলেন। কেমন হলো শো?
অনেক ভালো, আসলে ওদের শোগুলোর ব্যবস্থাপনা অনেক গোছানো। সেখানে কলকাতার সুপারস্টার, এমনকি মুম্বাইয়ের তারকারাও এসে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আসলে সেখানে সবাই চলচ্চিত্র যেমন উপভোগ করে, তেমনি এই অনুষ্ঠানগুলোও অনেক বড় মাপের হয়ে থাকে।
এই ধরনের অনুষ্ঠানে অংশ নিলে কতটা উপকৃত হবে আমাদের চলচ্চিত্র?
যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘শিকারি’ গত বছর ভারতে মুক্তি পেয়েছে। কিছুদিন পর মুক্তি পাবে ‘নবাব’। আমি চাই সেখানে যেন আমার নিজের দর্শক থাকে। ‘শিকারি’র মুক্তির আগে আমি কিছু শোতে অংশ নিয়েছিলাম, সেখানে যে আমার এত ভক্ত আমার জানা ছিল না। এরপর এখন যে শোগুলোতে কাজ করছি সেখানেও স্টেজে ওঠার পর চারদিকে শাকিব শাকিব বলে উল্লাস! আগে মনে করতাম বর্ডার এরিয়াতে আমাদের দর্শক আছে, কিন্তু এখন দেখছি ভারতের বাংলা ভাষাভাষী সব এলাকাতেই আমার দর্শক আছে। এই দর্শক শ্রেণিটা বাড়াতেই আসলে এই শোগুলোতে কাজ করছি। বাংলাদেশের শিল্পী যদি ভারতে দর্শকপ্রিয়তা পায় তাতে অবশ্যই আমাদের দেশের চলচ্চিত্র উপকৃত হবে।
এ নিয়ে আপনার নিজের ভাবনার জায়গাটা নিয়ে যদি আরো কিছু বলতেন…
আসলে আমাদের এখন নিজেদের জায়গা বড় করতে হবে। আমরা সব সময় বিনিময়ের চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে ছিলাম এবং আছি। কিছুদিন আগেও কিন্তু আমাদের দেশে কলকাতার একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে বিনিময়ের মাধ্যমে। এখন টিভি হোক আর যেভাবেই হোক, আমাদের দেশের দর্শক কলকাতার শিল্পী চিনে। আমাদের জানে ইউটিউবের মাধ্যমে, ইদানীং যৌথ প্রযোজনার মাধ্যমে তাদের সামনে আমরা হাজির হচ্ছি। সঙ্গে কিছু শোতে অংশ নিলে অবশ্যই আমাদের দর্শক বাড়বে। সেটা অবশ্যই চলচ্চিত্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।
বাংলাদেশে যে ছবি করছেন সেগুলোর মান কেমন?
আমি সব সময় বলে এসেছি ছবির মান বাড়াতে হবে। এখন কিছুটা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু এই ‘কিছুটা ঠিক’ হলেই তো চলবে না! পরিপূর্ণ চলচ্চিত্র বানাতে হবে, তাহলেই আমাদের দেশের ছবি দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখবে। সেটি কিন্তু বার বার দর্শক প্রমাণ দিচ্ছে। ‘শিকারি’ ছবিটি ভালো ব্যবসা করেছে। আচ্ছা এটা না হয় যৌথ প্রযোজনা, কিন্তু গত কোরবানির ঈদে পুরোপুরি বাংলাদেশের ছবি ‘বসগিরি’ তো ভালো ব্যবসা করেছে। আমাদের কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে। ntv
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন