স্ত্রীর অধিকার আদায়ে অনশন

নওগাঁর মহাদেবপুরে স্ত্রীর অধিকার আদায়ের দাবিতে স্বামী রিপন সরদারের প্রতিবেশীর বাড়িতে অনশন পালন করছেন মাহফুজা মিলি (২২) এক তরুণী।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে উপজেলার খাঁজুর ইউনিয়নের জয়পুর সরদার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্ত্রীর অধিকার পেতে মাহফুজা মিলি প্রথমে স্বামী রিপন সরদারের বাড়িতে অবস্থান নেন। পরে তার স্বামীর আত্মীয়-স্বজন মিলিকে শারীরিক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়।
পরে স্বামীর প্রতিবেশী আবদুর রাজ্জাকের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। ঘটনার পর থেকে রিপন বাড়িতে নেই।
রিপন খাঁজুর ইউনিয়নের জয়পুর সরদার পাড়া গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। তিনি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বান্দাইখাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষক।
অপরদিকে মাহফুজা মিলি রাজশাহী জেলার পুটিয়া উপজেলার ছাতার পাড়া গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে। তিনি নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কলেজের বাংলা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে রিপন সরদারের সঙ্গে ফোনে প্রথমে বন্ধুত্ব হয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত তিন মাস আগে পরিবারের অসম্মতিতে রিপনের সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়। তারা নওগাঁ শহরের একটি ভাড়া বাসায় কিছুদিন বসবাস করে মিলি তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
এক মাস আগে রিপনের গ্রামের বাড়িতে গেলে স্বামীর পরিবারের লোকজন গালিগালাজ করে মিলিকে তাড়িয়ে দেয়। সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে আবারও রিপনের গ্রামের বাড়িতে গেলে ছোট বোন সীমা, চাচা বারিক ও তার স্ত্রী শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
স্থানীয় শাহিদা, শাহনাজ ও ওয়াজেদ আলীসহ কয়েকজন জানান, তিন দিন আগে রিপনের বাড়ির দরজায় এসে বসে থাকায় মিলিকে মারপিট করা হয়। পরে গ্রামের লোকজন তাকে রাজ্জাকের বাড়িতে এনে রাখে।
মাহফুজা মিলি বলেন, বিয়ের পর পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। এছাড়া সংসার করবে না বলে জানায় রিপন। কিন্তু এতো টাকা দেয়ার মতো সামর্থ আমার পরিবারের নাই।
তিনি জানান, এখন অন্য জায়গায় তার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা হচ্ছে বলেও শুনছি। আমি আমার স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে চাই।
স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান বেলাল হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছিলাম। দুই পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে মেয়েটিকে স্ত্রীর অধিকার দেয়ার জন্য।
মহাদেবপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এক মেয়ে স্ত্রী অধিকারের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে ছেলের বাবা আবদুল হামিদ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে বিয়ের কাগজপত্র দেখে প্রমাণিত হয় যে মেয়েটি তার ছেলের স্ত্রী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

সিলেটের জঙ্গি নেতা আব্দুল বারি ও শামসু জামিনে মুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা: শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিবাদী সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এরবিস্তারিত পড়ুন