স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢাকার তরুণী

এক সঙ্গে চাকরির সুবাদে পরিচয়, এরপর প্রেম। শেষ পর্যন্ত মন্দিরে পুরোহিতের উপস্থিতিতে সিঁথিতে সিঁদুর পড়িয়ে দেড় বছর বসবাস।
দেড় বছর পর বাবা ও মায়ের চাপে স্ত্রী দীপ্তি রানীকে অস্বীকার করে বসলেন লালমোহন বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কালিপদ দাসের ছেলে উজ্জল দাস।
রোববার দুপুর ১২টা থেকে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে কালিপদ দাসের বাসায় আহাজারি শুরু করছেন দীপ্তি রানী। কিন্তু সারা দিনেও মন গলেনি কালিপদ দাসের পরিবারের। দরজা পর্যন্ত খোলেনি তারা।
পুলিশ গেলেও ঘর থেকে বের হয়নি কেউ। উপায়ন্তর না পেয়ে পুলিশ ফিরে গেলেও দিপ্তী ঘরের দরজার সামনেই অপেক্ষা করতে থাকে।
দীপ্তি জানান, দেড় বছর আগে ঢাকা গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় হরাইজন গ্রুপে চাকরি করার সুবাদে পরিচয় হয় উজ্জল দাসের সঙ্গে। উজ্জল ওই কোম্পনিতে চাকরি করতেন। বাসা ভাড়াও থাকতেন পাশাপাশি। পরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে উভয়ে শিবপুর শিবমন্দিরে গিয়ে পুরোহিতের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন।
তিনি জানান, বিয়ের পর এক বছর পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সেখানে একত্রে বসবাস করেন তারা। এর মধ্যে তার গর্ভে সন্তান আসে। উজ্জল ওই সন্তান কৌশলে ওষুধ খাইয়ে নষ্ট করে দেয়।
দ্বীপ্তি জানান, উজ্জলকে লালমোহনে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসতে বললে সে বিভিন্ন অজুহাত দেখায় এবং বাড়িতে ম্যানেজ করতে সময় লাগবে বলে জানায়। এরই মধ্যে তিনি আবারো গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তবুও উজ্জল বাড়িতে না আনায় শেষ পর্যন্ত একাই লালমোহন আসেন তিনি।
১৭ মে প্রথমে লালমোহনে এসেই শ্বশুর কালিপদ দাসের বাসায় গেলে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। পরে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানালে তারাও অনুরোধ করেন ঘরে তুলে নিতে। তবুও কালিপদ বাবু ঘরে তুলে নেয়নি।
পরে দীপ্তি পাশের উপজেলায় এক বান্ধবীর বাসায় থেকে উজ্জলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। উজ্জল তার বাবার চাপে দীপ্তিকে অস্বীকার করে।
রোববার বেলা ১২টার দিকে আবারো শ্বশুরের বাসায় ঢোকা চেষ্টা করেন দীপ্তি। বাসার সামনে কান্নাকাটি করেও ভেতরে ঢুকতে পারেনি। এসময় উজ্জল ঘরের ভেতরেই অবস্থান করছিল।
ঘটনার পর কালিপদ দাসকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উজ্জল জানায়, দীপ্তি তাকে ফাঁসিয়েছে। সে আদৌ হিন্দু নয়। সে মুসলমান এবং তার নাম বীনা আহমেদ। এর আগে এক মুসলিম ছেলের সঙ্গে তার বিয়েও হয়েছে। বীনা আহমেদ নামে তার জাতীয় পরিচয়পত্রও রয়েছে।
এ বিষয়ে দীপ্তি জানান, তিনি আসলে গাজীপুর এক মুসলমান পরিবারে লালন পালন হয়েছেন। তার বাবা প্রদীপ কুমার দাস এবং মা মৃত লিজা রানী দাস। তাদের বাড়ি লালমোহন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডেই বলে তাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো দিন তার বাবা-মাকে দেখেননি। তাদের চেনেনও না। লালমোহনেও তাদের পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, উজ্জল তার আগের বিয়ের কথা বানিয়ে বলছেন। আমি বর্তমান নিয়ে ভাবতে চাই। আমার অধিকার চাই। নিজের জন্য না হলেও গর্ভের সন্তানের জন্য।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ হয়নি। বিষয়টি পারিবারিক, এটা পুলিশের কোনো কাজ নয়।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সিলেটে মোহসিন আহমেদ চৌধুরীর বাসভবনে হামলা ও ডাকাতি
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আওয়ামী লীগ নেতা মোহসিন আহমেদ চৌধুরীর সিলেট শহরেরবিস্তারিত পড়ুন

রাবিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ
রাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্তমান ওবিস্তারিত পড়ুন

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন