শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

স্ত্রী আজ এই ছেলের সাথে, কাল অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক করছে…

আমার বয়স ২০ বছর । আমি পেশায় ছাত্র। গত ৫ বছর আগে আমার একটা মেয়ে ভাল লাগে এবং অনেক ভালবেসে ফেলি। প্রথমত মেয়েটা রাজি হয়না। আমি আমার কাছের বন্ধুকে বলি আমি পড়াশুনা করবো না। পরে আমার কাছের বন্ধুটা আমি যাকে পছন্দ করি তার খালতো বোনকে বলে এই বিষয়টা। তার খালতো বোন আমাদের সাথেই পড়তো। আর ও তখন সেভেনে। পরে ওর কাজিন ওকে বুঝিয়ে রাজি করায় আমার সাথে “অভিনয়” করার জন্য। কারন ও নাকি ওর ক্লাস এর ফার্স্ট বয়ের সাথে রিলেশন শুরু করেছিল। পরে এসব কথা শুনলাম, তাও আমি ওকে ভালবাসতাম।

একদিন রাতে টেক্সট করল ও আমাকে ভালবাসেনা। যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর দীর্ঘ ১১ মাস পরে আমাকে আবার টেক্সট করে এবং আমাদের মাঝে রিলেশন শুরু হয়ে যায়। চলতে থাকে আমাদের রিলেশন। আমি ২০১১ তে এস,এস,সি পাস করি। পরে আমি ২০১৩ তে এইচ,এস,সি তে ভর্তি হই। আমাদের রিলেশন ভালই চলছিল। তখন ও স্কুলে যেত না। যখন ক্লাস টেনে উঠলো তখন স্কুলে যেতে লাগল। পরে আবার সেই ছেলেটার সাথে রিলেশন শুরু করল। আমি বুঝতে পারিনি।

একদিন স্কুলের মাঝে ওই ছেলের সাথে আমি আর ও সামনাসামনি হই। পরে ও বলে ও আমাকে চায়না, ঐ ছেলেকে চায়। আমি শুনে চলে আসি। পরের দিন ও ফোন দিয়ে বলে ওর আব্বুর ভয়ে এমন করছে। আমি আবার ওকে ক্ষমা করে আবার সম্পর্ক শুরু করি। তারপর আমদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক হয়।
পরে ১৩-০৮-২০১৪ তারিখে আমরা বিয়ে করি। পরে আবার শুনতে পাই যে ও সেই ছেলেটার সাথে রিলেশন করছে। তখন অনেক ঝগড়া করি। বলি যে আমার সামনে ঐ ছেলেকে বল যে তুমি ওকে ভালবাস না। আর আমাদের রিলেশন এর কথা জানাতে। কিন্তু কোনমতেই রাজি হয়না। চলতে থাকে রিলেশন এই ভাবে। প্রায়ই এই নিয়ে আমি ওকে বকা দিতাম।

আমি ওকে ৩টা ফোন কিনে দিয়েছি। আর ও আমাকে না জানিয়ে আলাদা সিম ব্যবহার করে ঐ ছেলের সাথে কথা বলত। একদিন ধরে ফেলি এবং আমি ওকে একটা চড় মারি। তারপর ক্ষমা চায় ও। অনেক বার বলার আমি বলি এই শেষ বার। ও বলে ঠিক আছে আর হবে না। কিন্তু আবার এমন করতে থাকে। আজ এই ছেলে কালকে অন্য ছেলে। এখন বলেন আমি কী করব?

প্রশ্নটি আমাদের ফেসবুক পেজে করেছেন : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তরুণ।

১. পরামর্শ-

এই অল্প বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজটা আসলে ঠিক হয়নি ভাইয়া। আমি বুঝতে পারছি যে তুমি মেয়েটিকে অনেক ভালোবাসো। কিন্তু মেয়েটি তোমাকে ভালোবাসে না। শুনতে খারাপ শোনালেও এটাই সত্যি। মেয়েটি ক্লাসের সেই ফার্স্ট বয়কেই ভালোবাসে, এই কারণেই বারবার সে ওই ছেলের কাছে চলে যায় যে। মেয়েটি খুব সম্ভবত তোমার সাথে যোগাযোগ রাখছে তোমার টাকার কারণে। তাঁকে ৩ টি ফোন কিনে দিয়েছ, বুঝতেই পারছি যে তোমার আর্থিক অবস্থা বেশ ভালো। তোমার সাথে মেয়েটির খাতির রাখার সেটাই একমাত্র কারণ।

তোমাদের দুজনেরই বয়স অনেক কম, কারোরই বিয়ের বয়স হয়নি। সেক্ষেত্রে তোমাদের বিয়েটি আইনসিদ্ধ নয়। এটা মেয়েটি খুব ভালো করেই জানে এবং সাথে এও জানে যে তোমার পক্ষে এখন এই বিয়ের কথা পরিবারকে জানানো সম্ভব হবে না। তাই এই পুরো ব্যাপারটির চমৎকার ফায়দা তুলছে সে। একই সাথে তোমার সাথেও সম্পর্ক রাখছে, আবার অন্য ছেলেদের সাথেও জানে যে তুমি তাঁকে ছেড়ে যাবে না। আবার অন্য ছেলেদের কাছে যাওয়া থেকেও আটকাতে পারবে না। মেয়েটি আসলে জানেই না যে ভালোবাসা কী জিনিস।

যাই হোক, আমার মনে হয় নিজের ভালো চাইলে মেয়েটির সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলাটাই তোমার জন্য সবচাইতে ভালো হবে। তবে কেবল সম্পর্ক ছিন্ন করলেই হবে না, মেয়েটি যে এই বিয়ের দোহাই দিয়ে পরবর্তীতে তোমার ক্ষতি করতে না পারে, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। সম্ভব হলে মেয়েটিকে তালাক দেয়ার ব্যবস্থা করো। সেটা না পারলে বিয়ের যাবতীয় প্রমাণাদি নষ্ট করে ফেলো। কারণ মেয়েটির যা স্বভাব দেখা যাচ্ছে, তাতে সে তোমার জীবনে মারাত্মক সব সমস্যায় তৈরি করতে পারে।

২. পরামর্শ-

প্রথম কথা হল বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তোমাদের বিয়ে অবৈধ বিয়ের জন্য ছেলের ২৩ ও মেয়ের ১৮ বছর বয়স হতে হয় তাই আইনত সে তোমার স্ত্রী নয় তবে বিয়ে পারিবারিক ভাবে হলে এবং মুসলিম আইনে হলে তোমরা স্বামী স্ত্রী তবে অবশ্যই পারিবারিক ভাবে হতে হবে। পরিবারের অনুপস্তিতি তে ইসলামিক বিয়ে বৈধ নয়। তার পর ও বাংলাদেশের আইন এই বিয়ের স্বীকৃতি দেবে না এখন আসি অন্য ছেলের সাথে সম্পরকের বিষয়ে ১/ তুমি স্ত্রী কে পরিত্যাগ করতে পার। ২/ তাকে ভালভাবে বোঝাতে পার । (কমবয়সী মেয়ে তাই কাজ না হবার সম্ভাবনা বেশী)

৩/ যদি ভুয়া বয়স দেখিয়ে বিয়েটা রেজিস্ট্রি করা থাকে তাহলে পারিবারিক আইনে দাম্পত্য পুনুদ্ধার মামলা করতে পার। (উভয় পক্ষের হইরানী ছাড়া কিছু হবে না) আমার মনে হয় না এই মেয়ে ঠিক হবে। আশা বাদ দিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ভাই লেখাপড়া ঠিক মত করেন। ভাল চাকরী বা ভাল ইনকাম থাকলে এই রকম হাজার হাজার মেয়ে পিছনে পিছনে ঘুরবে। কামাই রোজগার না থাকলে বিয়ে করা বউ ও লাত্থি দিয়ে চলে যাবে। প্রথমেই বলেন আমি ছাত্র। ২/৩ টা টিউশনি ও কি করা যায় না। আমার ধারনা আপনি নিজে কিছুই করেন না পরিবারের সাহায্য / টাকায় চলেন। তহলে ভাই কোন মেয়েই টিকবে না।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সারজিস আলম: দেশের সিস্টেমগুলোতে ক্যান্সার ধরেছে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, “দেশের সিস্টেমগুলোতে ক্যান্সারবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • হত্যাকাণ্ডসহ সব অনভিপ্রেত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬
  • বিমানের লাগেজ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
  • মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড
  • বেনজীরের ঢাবি’র পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব
  • মতিউর গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে দেশেই আছেন 
  • কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানোর সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি গ্রেফতার
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • চাঁদা তুলে পরিবার চালানোর অধিকার রাজনীতিবিদদের নেই: ওবায়দুল কাদের
  • চাঁদপুরে যৌথ অভিযানে ১১ মণ জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
  • কুড়িগ্রামে অবৈধ জাল বিক্রি ও মজুদের দায়ে তিনজনকে কারাদণ্ড
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ