শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

স্ত্রী হত্যার ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লেন স্বামী!

মধ্যরাতে স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন স্বামী। হাওয়া খাওয়ার কথা বলে নিয়ে যান বাইরে। উঠান পেরুতেই স্বামীর হাতে থাকা ধারালো ছুরি বিদ্যুৎ গতিতে আঘাত করে স্ত্রীর মাথার পেছনে। কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে স্ত্রী।

এরপর মুখে মাটি গুঁজে, শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যা করেন। কাজ শেষ হলে লাশ একটি ধানক্ষেতে ফেলে রেখে স্বামী সোজা চলে আসেন ঘরে। স্ত্রীকে হত্যা করার ক্লান্তিতে গভীর ঘুমিয়ে তলিয়ে যান স্বামী…।

এটা কোনো হরর ছবির কাহিনী নয়। নয় পশ্চিমা দেশের কোনো নির্মম ঘটনাও। এ ঘটনা কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নে ঘটেছে গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে।

পুলিশের হাতে আটক হওয়া কোদালকাটি এলাকার ছানোয়ার হোসেন তার স্ত্রী জবেদা খাতুনকে হত্যা করার বর্ণনা দিচ্ছিলেন এভাবেই। হত্যাকাণ্ডের পর কোনো খুনির এমন স্বাভাবিক আচরণ পুলিশসহ সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে।

ছানোয়ার হোসেন আরো জানান, সকালে চোখ কচলাতে কচলাতেই ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। এরপর চোখেমুখে উদ্বিগ্ন ভাব ছড়িয়ে শ্বশুরবাড়ি যান স্ত্রীর সন্ধান করতে। জবেদাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানান। এ খবরে চিন্তিত হয়ে পড়েন তারা। খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেন।

কিন্তু এর মধ্যেই খবর আসে ধান ক্ষেতে জবেদার লাশ পড়ে আছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন পড়িমরি করে ছুটে যান মেয়ের লাশ উদ্ধারের জন্য। খবর দেয়া হয় থানাতেও। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করার সময় স্বামীকেও সঙ্গে করে নিয়ে যায় থানায়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে।

স্বামী ছানোয়ার হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। স্ত্রীকে হত্যার সময় তার সঙ্গে আরো চারজন ছিল বলেও জানান। খুনির দেয়া তথ্যমতে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুটিটি বাড়ি থেকে জব্দ করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুরে গৃহবধূ জবেদা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বামী ছানোয়ারের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথীষ কুমার।

নিহত গৃহবধূ জবেদা (২৬) রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের তেররশিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে জানা গেছে, জবেদা খাতুন এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা সুদের ওপর নেন। ওই টাকা স্বামী ছানোয়ার হোসেনকে দেন ব্যবসা করার জন্য। কিন্তু এতোগুলো টাকা পাওনাদারদের ফিরিয়ে না দেয়ার পরিকল্পনা করে ছানোয়ার। পরিকল্পনা মোতাবেক স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। সে কারণেই ঠাণ্ডা মাথায় তিনি স্ত্রী জবেদাকে খুন করেন। তবে খুনের পরে স্বাভাবিক আচরণ করে ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু ‍পুলিশি তদন্তে সব সত্য বেরিয়ে আসে।

ওসি পৃথীষ কুমার জানান, স্বামীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার দেয়া তথ্যমতে, আরো যে ৪ জন খুনের ঘটনায় জড়িত কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায়  ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।  মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন

সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন

  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ
  • ঈদযাত্রায় মহাসড়কে  চলছে ধীরগতিতে গাড়ি
  • হরিজনদের উচ্ছেদ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদ