স্ত্রী হত্যায় দায়ে স্বামীর ফাঁসি
স্ত্রী হত্যার অভিযোগে ১১ বছর আগের এক মামলায় এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম ইমন (৩৫) নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু ঝাকড়া গ্রামের মো. গফুরের ছেলে।
ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি ইমন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন।
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি পলাতক সৌরভকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর রাজধানীর পল্লবীর বাসায় ওই হত্যাকাণ্ড হয়। ইমন মাত্র ২০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে আদালতে প্রমাণিত হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর থানার দলুয়া চৌধুরী পাড়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার সঙ্গে ১৯৯৯ সালে ইমনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর আর্থিক অনটনের জন্য ২০০৩ সালে এই দম্পতি ঢাকায় আসে এবং আয়েশা পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। পল্লবীর একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করেন তারা।
মামলার নথিতে বলা হয়, স্ত্রী চাকরি করলেও বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য ইমন মাঝেমধ্যেই আয়েশাকে মারধর করতেন।
ওই যৌতুকের টাকা না পেয়ে ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে ঘুমন্ত আয়েশার গলায় নাইলনের দড়ি পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ইমন; এরপর লাশ ফেলে পালিয়ে যান।
এরপর নিহতের বাবা পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইমন আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল পল্লবী থানার এসআই আব্দুল খালেক আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মোট সাতজনের সাক্ষ্য শুনে আদালত এ রায় ঘোষণা করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নাটোরে পুকুরে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু
জেলার গুরুদাসপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই পরিবারের চার শিশুর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন
নাটোরে বিয়ের ঘটকালী করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নারী
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বিয়ের ঘটকালী করতে গিয়ে এক নারী ঘটকবিস্তারিত পড়ুন
নাটোরে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ
আজ সোমবার নাটোরের লালপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজ সেবাবিস্তারিত পড়ুন