স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন
রাজধানীর শ্যামপুরে স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় স্বামী মাসুদ আলমের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলায় ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শহিদুল ইসলাম খান ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির। পরে মনিরুজ্জামান কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৭ মে শ্যামপুরের ফারজানা আক্তার মিতুর সঙ্গে মাসুদ আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন স্বামী মাসুদ। তবে কোনো কর্ম না থাকায় তিনি স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য সবসময় নির্যাতন করতেন। যে কারণে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। সেই কলহের জেরে ২০০৬ সালের ২৫ মে নিজ গৃহে মিতুকে মারপিট করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
ওই ঘটনায় একইদিনে নিহতের বাবা আজহার আলী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১১ (ক) ধারায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় মাসুদসহ ৫ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলেও শুধু মাসুদের নামেই অভিযোগ গঠন হয়। চার্জ গঠনের পর ২০১১ সালের ৩ মে মামলার ঢাকার নারী ও শিশু বিচার ট্রাইব্যুনাল মাসুদকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
সেই রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য একই বছরের ১৫ মে মামলাটি হাইকোর্টে আসে। আজ তা তালিকায় আসলে শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে মাসুদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন