স্পিকারের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা (Harsh Vardhan Shringla)।
সোমবার স্পিকার শিরীন শারমিনের কার্যালয়ে দ্বি-পাক্ষিক এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে তারা দুদেশের স্থল সীমান্ত চুক্তি, আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি, তিস্তার পানি বণ্টনসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী নেতৃত্ব, জেন্ডার সমতাসহ বিভিন্ন সামাজিক নির্দেশকগুলোতে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে, যা বিশ্বব্যপী প্রশংসিত হয়েছে।’
এসময় তিনি বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা রংপুর, দিনাজপুরে বিনিয়োগকারীগণ বহুতল ভবন নির্মাণসহ অবকাঠামো খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। বর্তমানে ফুলবাড়ী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে কর্মচাঞ্চল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
দুদেশের সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। দুদেশের সংসদের মধ্যে নিয়মিত প্রতিনিধি বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরো জোরদার হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।’
এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অনেক গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ইতোমধ্যে যুগান্তকারী স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে। বর্তমানে তিস্তার পানি বণ্টনসহ বহু সংখ্যক দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।’
স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশের রেল যোগাযোগের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত বিশেষ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ভারত কর্তৃক প্রাপ্ত ১ (এক) বিলিয়ন ডলার সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বর্তমান সরকার বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করছে। এতে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
হাইকমিশনার বাংলাদেশে অবস্থান ও দায়িত্ব পালনকালে স্পিকারের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রত্যুত্তরে স্পিকার শিরীন শারমিনও ভারতীয় হাইকমিশনারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং ধন্যবাদ জানান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন