স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, রুপকার, সংগঠক, স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস ও জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যবার্ষিকী। সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাসদ নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ে সিরাজুল আলম খানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএলএফের প্রশিক্ষক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা বাংলাদেশ জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মনজুর আহমেদ মনজু, স্থায়ী কমিটির সদস্য নাসিরুল হক, বাদল খান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত নেতা কর্মীদের সামনে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় দলের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, “দেশ স্বাধীনে সিরাজুল আলম খানের ভূমিকা ছিল অসাধারণ। বাংলাদেশ নামে একটা দেশ হবে এটা সিরাজুল আলম খান ও তার অনুসারীরা দৃড়ভাবে বিশ্বাস করতেন। সিরাজুল আলম খান তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে তরুন সমাজের হৃদয়ে স্বাধীনতার বীজ বপন করতে পেরেছিলেন। এই তরুনদের নিয়েই তিনি ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেছিলেন, শ্রমিকদের সংগঠিত করেছিলেন, বংগবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সংগ্রাম আরো শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বংগবন্ধু ৬ দফা পেশ করেছিলেন, কিন্তু কারাবন্দী বংগবন্ধুর ৬ দফাকে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার দুরুহ কাজটি করেছিলেন সিরাজুল আলম খান। ‘৬৯ এর সফল ছাত্র গনভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ মুজিবের শর্তহীন মুক্তি এবং বংগবন্ধু খেতাবে ভুষিত করতে সিরাজুল আলম খানের নেপথ্য ভূমিকা ছিল অতুলনীয়।
আম্বিয়া আরো বলেন জয় বাংলা স্লোগান, স্বাধীনতার পতাকা, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের যে উন্মাদনা তৈরী হয়েছিল তার নেতৃত্বেও ছিলেন সিরাজুল আলম খান।’৬৯ এর বিজয়ী ছাত্র আন্দোলনে শেখ মুজিবের শর্তহীন মুক্তি এবং বংগবন্ধু হিসেবে উত্থানে সিরাজুল আলম খানের নেপথ্য ভূমিকা তাঁকে ঐসময়ে আন্দোলনের মধ্যমনিতে পরিনত করেছিল। ৬দফার সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় অতুলনীয় সাংগঠনিক দক্ষতায় তিনি আওয়ামী রাজনীতিতে স্বাধীনতা ও সমাজতন্ত্রের রাজনীতির সাংগঠনিক বিস্তৃতি ঘটিয়েছিলেন। সিরাজুল আলম খান সহ অসংখ্য মানুষ এই দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তাদের জীবন যৌবনকে উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রের চেহারা দেখতে পায়নি। সংসদীয় সংবিধান প্রতিষ্ঠা করলেও গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় নি। আওয়ামীলীগ নিজেই গনতন্ত্রের অন্তরায় হয়ে দাড়ায়।
তিনি আরো বলেন বিদ্যমান সংকটময় রাজনীতি ও অর্থনীতি থেকে দেশকে উদ্ধার করার জন্য গনতান্ত্রিক ঐক্য গড়ে তোলার বিকল্প নেই। শক্তিশালী সংগঠন ও গনতান্ত্রিক বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমেই লুটেরাদের রাজনীতির কবর দিতে হবে। সরকার ঘোষিত বাজেট হতাশা বাড়াবে, উদ্বেগ নিরসনের কিছু নাই।বাজেটে সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে চোরের সাথে ভাগবাটোয়ারায় লিপ্ত হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের
ঢাকার সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূস: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, এটি ত্রুটিপূর্ণ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা।বিস্তারিত পড়ুন
আইসিটি অধ্যাদেশ অনুমোদন, ধারণ করা যাবে বিচার প্রক্রিয়ার অডিও-ভিডিও
‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনবিস্তারিত পড়ুন