স্বামীর ঘর থেকে পালিয়ে আসা পুলিশের মেয়েকে বিয়ে, অতঃপর..
স্বামীর ঘর থেকে পালিয়ে আসা পুলিশের মেয়েকে বিয়ে করে বিপাকে পড়েছে এক যুবক। ওই তরুণীর সঙ্গে এক বছর প্রেম ছিল ওই যুবকের।
কিন্তু ওই মেয়েকে বিয়ে করায় ক্ষুব্ধ হয়ে অপহরণ মামলা দিয়ে ওই প্রেমিক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন মেয়েটির পুলিশ কর্মকর্তা বাবা।
ওই মেয়ের বাবা রাজবাড়ী জেলা পুলিশে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
গ্রেফতার হওয়া যুবক হীরা শহরের দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। সে রাজবাড়ী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, রায়হান ওরফে হীরা (২১) পুলিশের এএসআই’র মেয়ে (১৮) এক বছরের প্রেমের সম্পর্ককে শুভ পরিণয় দিতে দুজন পালিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু এই প্রেমের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি তরুণীর পুলিশ কর্মকর্তা বাবা।
অভিযোগ উঠেছে, মিথ্যা অপহরণ মামলায় ফাঁসিয়ে হীরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জেলা শহরের নতুনবাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
এদিকে, টাকার অভাবে হীরাকে মামলা থেকে মুক্ত করতে আইনি লড়াই করতে পারছে না তার দরিদ্র পরিবার।
হীরার বোন জান্নাতুল ফেরদৌস কাজল বলেন, গত এক বছর ধরে হীরার সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো।
তিনি বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি হীরা মেয়েটিকে আমাদের বাড়িতে আমার ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নিয়ে আসে। সেদিন আমি মেয়েটিকে বলেছিলাম- তোমার বাবা পুলিশ অফিসার আর আমার ভাই দরিদ্র পরিবারের ছেলে। এই ভালোবাসা তোমার বাবা মানবে না।
হীরার বোন বলেন, সেদিন মেয়েটি আমাকে বলেছিলো- সে হীরাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। তারপর থেকে মেয়েটি হীরার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই আমাদের বাড়িতে আসতো।
হীরার বোন জান্নাতুল ফেরদৌস কাজল আরও বলেন, গত ২ মে মেয়েটি তার বাড়িতে রাগ করে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। এরপর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে মেয়েটির বাবাকে ডেকে এনে তাকে তার হাতে তুলে দেয়া হয়। এর তিন দিন পর মেয়েটিকে তার বাবা মেয়েটির নানার বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নিয়ে অন্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন।
সেখান থেকে ১০ মে মেয়েটি পালিয়ে এসে হীরাকে ফোন করে বলে- ‘আমি পালিয়ে এসেছি, তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো।’
মেয়েটির কথায় রাজি হয়ে হীরা তাকে ফরিদপুর নিয়ে ১১ মে নোটারি পাবলিক কর্তৃক এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে বলে জানান হীরার বোন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা হীরা ও আমার বাবা মায়ের নামে মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ আমার পঙ্গু বাবাকে ধরে নিয়ে ১২ দিন হাজতে আটকে রাখে।
৩ জুন বিকালে ফরিদপুর শহরের বায়তুল আমান এলাকা থেকে র্যাব মেয়েটিসহ হীরাকে আটক করে রাজবাড়ী থানায় হস্তান্তর করে। এরপর পুলিশ মেয়েটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে হীরাকে জেলহাজতে পাঠায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে মামলাটির তদন্ত করা হচ্ছে। তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে, সেই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তদন্তকাজ আরও অগ্রসর হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে তরুণীর পুলিশ কর্মকর্তা বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন