স্বামীর মর্মান্তিক পরিণতিতে এই মহিলার দিকেই আঙুল তুলেছিলেন ওম পুরীর প্রথম স্ত্রী
ওম ফিরে এসেছিলেন সীমার কাছে। কিন্তু, সেটা বিচ্ছেদের প্রায় দু’দশক পরে। কিন্তু, দু’জনের যৌবন তখন অস্তাচলে। সীমার একটাই কথা ছিল— ‘এখন আর কী হবে ক্ষমা চেয়ে, জীবনটা তো চলেই গেল।’
দু’দশক ধরে আলাপ। এক দশক ধরে প্রেম। অবশেষে বিয়ে। কিন্তু, বিয়ের ১ বছর কাটতে না কাটতেই বিচ্ছেদ। আজও এই স্মৃতি যেন দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে সীমা কপূরকে। অভিনয় জগতের প্রতিনিধি হলেও সীমা কপূরকে আজও লোকে চেনে ওম পুরীর প্রথম স্ত্রী হিসাবে। একাধিক সিনেমার অভিনয় করেছেন, থিয়েটারের সঙ্গে জড়িত, লিখেছেন বিভিন্ন ধারার অভিনয়ের চিত্রনাট্য, টেলি সিরিয়ালের গল্প লেখা থেকে শুরু করে চিত্রনাট্য লিখেছেন। ছবি, টেলি সিরিয়ালও পরিচালনা করেছেন। কিন্তু, আজও ওম পুরীর ছায়াতেই যেন ঢেকে রয়েছে সীমার পরিচয়। এই নিয়ে অবশ্য দুঃখ নেই সীমার। কারণ, ওম পুরীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ১৯৭০ সালে। তখন ওম সদ্য পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করে অভিনয়কে পেশা হিসাবে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ওমের সঙ্গে তাঁর মেলামেশা, ঘোরাফেরায় স্বাভাবিকভাবেই ‘ওমের বান্ধবী’ হিসেবেই লোকে তখন সীমাকে চিহ্নিত করত। কিন্তু, ১৯৯০ সালে সেই সম্পর্ক যখন পূর্ণতা পেয়েছিল, ঠিক তখনই যেন ওমের জীবনে ঝড়ের মতো হাজির হয়েছিলেন নন্দিতা।
সীমা একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি তখন ৫ মাসের গর্ভবতী। বিধবা অসুস্থ মা-এর দেখভালের জন্য রাজস্থানে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, ফিরে এসে আবিষ্কার করেছিলেন ওম পুরীর ওয়ার্ডরোব অন্য মহিলার অন্তর্বাস সঙ্গে একাধিক প্রেমপত্র। স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন সীমা।
জানতে পেরেছিলেন কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে ওমের সঙ্গে নন্দিতা বলে এক তরুণীর পরিচয়ের কথা। সেখান থেকে নন্দিতা যেন ধাওয়া করছিলেন ওমকে। সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছিলেন সীমা। কলকাতায় ওমের সঙ্গে হোটেলেও নাকি রাত কাটিয়েছিলেন নন্দিতা। এমনকী, তাঁর অনুপস্থিতিতে মুম্বইয়েও ওমের সঙ্গে বাড়িতে এসে নন্দিতা যে রাত কাটাতেন, তার বহু প্রমাণও পেয়েছিলেন সীমা। ওমের এই গোপন অভিসার সহ্য করতে পারেননি সীমা। যার ফলে সীমার গর্ভেই মৃত্যু হয় সন্তানের। এরপরই রাজস্থানের ঝালওয়ারের বাড়িতে নাকি চলে গিয়েছিলেন সীমা। সেখানেই আচমকা বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠান ওম পুরী।
সীমার অভিযোগ ছিল, নন্দিতা শুধুই ওমের সেলিব্রিটি তকমাকে ভালবেসেছিল। ওম পুরীর ‘জীবনী’-র নামে যে বই বেরিয়েছে তাঁকে ‘সেমি-পর্নো’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন সীমা। তাঁর প্রশ্ন ছিল ‘ওম পুরীর কোনও অভিনয়প্রতিভা নেই? শুধু তিনি মহিলাদের নিয়ে বেডরুমে থাকতে ভালবাসেন?’ জীবনীতে ওম পুরীকে যেভাবে কামমনষ্ক মানুষ হিসাবে দেখানো হয়েছে, তার জন্য নন্দিতাকে তোপও দেগেছিলেন সীমা। তাঁর অভিযোগ ছিল নন্দিতার জন্য আজ ওমের এই হাল।
ওম পুরী ২০১০ সালে সীমার মায়ের শ্রাদ্ধে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। নন্দিতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে ওম পুরী ফের সীমার সঙ্গে ঘর বাঁধতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু, সীমা আর ফিরতে চাননি। কারণ, তাঁর মতে- ‘জীবনের মূল সময়টাই তো চলে গিয়েছে। এখন জীবনে আর কী পড়ে আছে?’
সীমার ওম-ও হয়তো এই কথাটাই বুঝতে পেরেছিলেন। তাই নিঃশব্দেই চলে গেলেন। আর তাঁর প্রথম স্ত্রী সীমা পড়ে রইলেন একরাশ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে। মনে একটাই চিন্তা, জীবনের হিসেবটা তো এমন হওয়ার ছিল না!
এ সংক্রন্ত আরো খবরঃ
বার্ধক্যে এসে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদই কি আর সহ্য করতে পারলেন না ওম পুরী?
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন