স্বামীর হাতে স্ত্রী, স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার পৃথক স্থানে স্বামীর হাতে স্ত্রী এবং স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন হওয়ার দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আজ শনিবার দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের রঘুপাড়া গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (৩০) ও আউচপাড়া ইউনিয়নের শিয়ালীপাড়া গ্রামের তাহমিনা খাতুন (২৮)। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী খুশি খাতুন (২৬) ও নিহত তাহমিনার স্বামী মিঠু হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাজ্জাদ হোসেনকে শ্বাসরোধ করে এবং তাহমিনাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
স্ত্রী খুন:
তাহমিনা হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে শিয়ালী গ্রামের গৃহবধূ তাহমিনার সঙ্গে তাঁর স্বামী মিঠু হোসেনের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে মিঠু হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে কোদালের হাতল দিয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেন। গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাহমিনার। পরে লোকজন মিঠুকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং মিঠুকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা উপজেলার ইন্দ্রপুর গ্রামের নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে মিঠুর সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মিঠু নানা কারণে তাহমিনাকে নির্যাতন করতেন।
হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নাইমুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্বামী খুন:
সাজ্জাদ হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্ত্রীকে অভিযুক্ত করেছেন নিহত ব্যক্তির মা রাবেয়া বেগম। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে খুশি খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁদের দাম্পত্য জীবন ভালো কাটলেও কয়েক মাস ধরে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। তিন-চার মাস আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে খুশি তাঁর বাবার বাড়ি পাশের মোহনপুর উপজেলার তাঁতীপাড়া গ্রামে যান। কয়েক দিন আগে তিনি শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে সাজ্জাদ হোসেন রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে খুশি তাঁকে (সাজ্জাদের মা) ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেন, সাজ্জাদ মারা গেছেন। তিনি ঘরে ছুটে গিয়ে সাজ্জাদকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। তবে স্ত্রী খুশির অসংলগ্ন কথাবার্তায় তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে এবং খুশি খাতুনকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত যুবকের মা এ ঘটনায় খুশি খাতুনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে খুশি খাতুন ভাড়াটে খুনি দিয়ে শ্বাসরোধ করে সাজ্জাদকে হত্যা করেছেন।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম হোসেন বলেন, অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন