রবিবার, অক্টোবর ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

স্মার্ট কার্ডের হাসি ও ভোগান্তি

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড হাতে পাচ্ছেন না অনেকেই। কবে পাবেন সেই শঙ্কা মনে নিয়েই বাসায় ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। তবে যারা স্মার্ট আইডি কার্ড হাতে পাচ্ছেন, তারা নিজেদের ডিজিটাল দেশের স্মার্ট নাগরিক মনে করছেন।

তথ্যের ত্রুটি বা সংশোধনীর কারণে অনেকের স্মার্ট কার্ড এখনো হয়নি। আইডি কার্ড আনতে গিয়েও অনেকে ফিরে আসছেন খালি হাতে। যাদের কার্ডে ভুল তাদের মোবাইল নম্বর রেখে দেয়া হচ্ছে। তাদের কার্ড ত্রুটিমুক্ত হলে তাদের মোবাইলে মেসেজ যাবে। সেখানে বলে দেয়া হবে কোথা থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। আর যাদের আইডি কার্ড প্রস্তুত তাদেরকে ভোটার আইডির স্লিপ দিয়ে হাতের ১০ আঙ্গুলের ছাপ এবং দুই চোখের আইরিশের স্ক্যান করার পর তা বিতরণ করা হচ্ছে।

নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে মহাখালী মডেল হাই স্কুলে শুরু হয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া। চলবে এ মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত। এসময়ের মধ্যে গুলশান ও মহাখালীর ভোটাররা তাদের স্মার্ট আইডি কার্ড হাতে পাওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই তা পাচ্ছেন না। অথচ স্মার্ট আইডি কার্ড নেয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন এর সবকিছুই তারা নিয়ে এসেছেন বলে জানান।

যাদের ক্ষেত্রে ‘কার্ড নট ফাউন্ড’ লেখা আসছে তাদের মিলছে না কার্ড। তাদের মোবাইল নম্বর রাখছেন কর্মীরা। লম্বা লাইনে কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে যারা কার্ড হাতে পাচ্ছেন তাদের তৃপ্তির শেষ নেই। তবে এক কষ্ট করেও যারা কার্ড হাতে পাচ্ছেন না তাদের রয়েছে ক্ষোভ।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক বৃদ্ধ নারী-পুরুষ দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে তাদের জন্য বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে এখানেও দেখা গেছে অনিয়ম। অনেকেই স্বেচ্ছাসেবকদের হাত করে সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন স্মার্ট কাড। আর যারা এসবের ‘সিস্টেম’ বুঝছেন না তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সবুজ নামে এক স্বেচ্ছাসেবককে তার পরিচিত লোকদের লাইনের বাইরে আগেই কার্ড দিয়ে বিদায় করতে দেখা যায়। সবুজের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

মিজানুর রহমান নামে প্রায় ৭০ বছর বয়সী এক স্মার্ট আইডি গ্রাহকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, বয়স্ক মানুষ, পাশের কোথাও গিয়ে বসতে পারছি না, কারণ লাইনের পেছনে পড়ে যাবো। লম্বা লাইনে সবাই চায় আগে যেতে। কোনো স্বেচ্ছাসেবককেও দেখছি না যে যার কাছে বলে একটু পাশে গিয়ে বসবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুনেছি অনেকেই তাদের কার্ড পাচ্ছে না। আমার বেলায়ও যদি তা হয় তবে কষ্টটাই বৃথা যাবে।’ পরে অবশ্য তিনি স্মার্ট আইডি কার্ডটি হাতে পেয়ে হাসিমুখেই স্থান ত্যাগ করেন। তার অভিযোগ, দায়িত্বরত কর্মীরা খুবই ধীরগতির। লাইনের সময় ছাড়াও তাদের কাজের প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় আধা ঘণ্টার মতো সময় লাগে।

মিজানুর রহমান ছাড়াও মোহাম্মদ খোকন (কার্ড পেয়েছেন), ইলিয়াস সরকার, মোহাম্মদ বাবর আলী, কামাল (কার্ড পেয়েছেন), তাসলিমা বেগম (কার্ড পাননি), সাখনা বেগমসহ বেশ কয়েকজন একই অভিযোগ করেন। তবে সোমবারের মতো লাইনে আগে যাওয়ার জন্য যে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছিল, তা আজকে নেয়া হয়নি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও তার মেয়ে রোকসানা আকতার মুক্তা জানান, দুর্ঘটনার কারণে তাদের দুজনের পায়ে সমস্যা। তারা সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম লিডার রেজাউল করিমকে তাদের অসুস্থতার বিষয়ে জানান। এতে লাইন ছাড়াই স্মার্ট আইডি কার্ড পেয়েছেন। তাই তারা খুব খুশি।

বেলা ১২টা থেকে প্রথম কয়েক ঘণ্টা কথা বলার মতো স্মার্ট কার্ড সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তার দেখা মিলেনি। পরে বিকাল পৌনে চারটার দিকে টিম লিডার রেজাউল করিমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, অসুস্থ ও বয়স্ক নারী বা পুরুষরা তাদের চোখে পড়লেই, তাদেরকে লাইনের বাইরে এনে দ্রুততার সাথে আইডি কার্ড প্রাপ্তির বিষয়টি খেয়াল রাখা হচ্ছে।

যারা আইডি কার্ড পাচ্ছেন না তাদের কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে থেকেই তথ্যের ত্রুটির কারণে কার্ড আসেনি এবং যারা আইডি কার্ড পাচ্ছেন না তাদের মোবাইল নাম্বার রেখে দেয়া হচ্ছে। তাদের কার্ড যখন ত্রুটিমুক্ত হবে, তখন তাদের মোবাইলে মেসেজ যাবে এবং সেখানে বলা থাকবে কোথা থেকে তাদের আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।

লাইনের জন্য কিসের টাকা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, লাইনের জন্য বা গ্রাহকদের স্মার্ট আইডি কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের টাকা নেয়া হচ্ছে না। তবে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা বা একটার দিকে স্থানীয় কিছু ছেলেপেলে এসে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ৫০ টাকার মতো করে নিয়ে যায় বলে তিনি স্বীকার করেন। পরে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। আজ আর এই ধরনের কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মান্নান হাওলাদারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি গতকালের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ছেলেরা যেন আর এ ধরনের টাকা আদায় করতে না পারে সে জন্য তিনি নিজে আগামী ১৯ নভেম্বর কার্যক্রম শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি সবসময় খোঁজখবর রাখবেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

১ লাখ ৪০ হাজার ছাড়াল স্বর্ণের ভরি

দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্সবিস্তারিত পড়ুন

জাতিসংঘ: বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে চরমবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গাইলে বাসার সামনে থেকে পুলিশ সুপারের মোবাইল ফোন ছিনতাই

টাঙ্গাইলে বাসার সামনে থেকে ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপারবিস্তারিত পড়ুন

  • আসিফ নজরুল: সাকিবের প্রতি মানুষের ক্ষোভ অযৌক্তিক নয়
  • খুলনায় মসজিদে দানের ছাগল নিয়ে সংঘর্ষ, মুসল্লির মৃত্যু
  • নওগাঁয় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থী আহত, আটক ৩
  • প্রবারণা পূর্ণিমার বর্ণিল উৎসব বান্দরবানে
  • দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ চান তারেক
  • মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
  • হাইকোর্টে ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আঁকা গ্রাফিতি হেঁটে দেখলেন ড. ইউনূস
  • মাধ্যমিকে ফের চালু হচ্ছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে মির্জা ফখরুলের রিভিউ আবেদন
  • শিক্ষা ভবনের সামনে সড়কে শুয়ে শিক্ষকদের অবরোধ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৩ জনের মৃত্যু