রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

স্মার্ট কার্ডের হাসি ও ভোগান্তি

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড হাতে পাচ্ছেন না অনেকেই। কবে পাবেন সেই শঙ্কা মনে নিয়েই বাসায় ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। তবে যারা স্মার্ট আইডি কার্ড হাতে পাচ্ছেন, তারা নিজেদের ডিজিটাল দেশের স্মার্ট নাগরিক মনে করছেন।

তথ্যের ত্রুটি বা সংশোধনীর কারণে অনেকের স্মার্ট কার্ড এখনো হয়নি। আইডি কার্ড আনতে গিয়েও অনেকে ফিরে আসছেন খালি হাতে। যাদের কার্ডে ভুল তাদের মোবাইল নম্বর রেখে দেয়া হচ্ছে। তাদের কার্ড ত্রুটিমুক্ত হলে তাদের মোবাইলে মেসেজ যাবে। সেখানে বলে দেয়া হবে কোথা থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। আর যাদের আইডি কার্ড প্রস্তুত তাদেরকে ভোটার আইডির স্লিপ দিয়ে হাতের ১০ আঙ্গুলের ছাপ এবং দুই চোখের আইরিশের স্ক্যান করার পর তা বিতরণ করা হচ্ছে।

নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে মহাখালী মডেল হাই স্কুলে শুরু হয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া। চলবে এ মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত। এসময়ের মধ্যে গুলশান ও মহাখালীর ভোটাররা তাদের স্মার্ট আইডি কার্ড হাতে পাওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই তা পাচ্ছেন না। অথচ স্মার্ট আইডি কার্ড নেয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন এর সবকিছুই তারা নিয়ে এসেছেন বলে জানান।

যাদের ক্ষেত্রে ‘কার্ড নট ফাউন্ড’ লেখা আসছে তাদের মিলছে না কার্ড। তাদের মোবাইল নম্বর রাখছেন কর্মীরা। লম্বা লাইনে কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে যারা কার্ড হাতে পাচ্ছেন তাদের তৃপ্তির শেষ নেই। তবে এক কষ্ট করেও যারা কার্ড হাতে পাচ্ছেন না তাদের রয়েছে ক্ষোভ।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক বৃদ্ধ নারী-পুরুষ দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে তাদের জন্য বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে এখানেও দেখা গেছে অনিয়ম। অনেকেই স্বেচ্ছাসেবকদের হাত করে সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন স্মার্ট কাড। আর যারা এসবের ‘সিস্টেম’ বুঝছেন না তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সবুজ নামে এক স্বেচ্ছাসেবককে তার পরিচিত লোকদের লাইনের বাইরে আগেই কার্ড দিয়ে বিদায় করতে দেখা যায়। সবুজের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

মিজানুর রহমান নামে প্রায় ৭০ বছর বয়সী এক স্মার্ট আইডি গ্রাহকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, বয়স্ক মানুষ, পাশের কোথাও গিয়ে বসতে পারছি না, কারণ লাইনের পেছনে পড়ে যাবো। লম্বা লাইনে সবাই চায় আগে যেতে। কোনো স্বেচ্ছাসেবককেও দেখছি না যে যার কাছে বলে একটু পাশে গিয়ে বসবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুনেছি অনেকেই তাদের কার্ড পাচ্ছে না। আমার বেলায়ও যদি তা হয় তবে কষ্টটাই বৃথা যাবে।’ পরে অবশ্য তিনি স্মার্ট আইডি কার্ডটি হাতে পেয়ে হাসিমুখেই স্থান ত্যাগ করেন। তার অভিযোগ, দায়িত্বরত কর্মীরা খুবই ধীরগতির। লাইনের সময় ছাড়াও তাদের কাজের প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় আধা ঘণ্টার মতো সময় লাগে।

মিজানুর রহমান ছাড়াও মোহাম্মদ খোকন (কার্ড পেয়েছেন), ইলিয়াস সরকার, মোহাম্মদ বাবর আলী, কামাল (কার্ড পেয়েছেন), তাসলিমা বেগম (কার্ড পাননি), সাখনা বেগমসহ বেশ কয়েকজন একই অভিযোগ করেন। তবে সোমবারের মতো লাইনে আগে যাওয়ার জন্য যে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছিল, তা আজকে নেয়া হয়নি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও তার মেয়ে রোকসানা আকতার মুক্তা জানান, দুর্ঘটনার কারণে তাদের দুজনের পায়ে সমস্যা। তারা সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম লিডার রেজাউল করিমকে তাদের অসুস্থতার বিষয়ে জানান। এতে লাইন ছাড়াই স্মার্ট আইডি কার্ড পেয়েছেন। তাই তারা খুব খুশি।

বেলা ১২টা থেকে প্রথম কয়েক ঘণ্টা কথা বলার মতো স্মার্ট কার্ড সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তার দেখা মিলেনি। পরে বিকাল পৌনে চারটার দিকে টিম লিডার রেজাউল করিমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, অসুস্থ ও বয়স্ক নারী বা পুরুষরা তাদের চোখে পড়লেই, তাদেরকে লাইনের বাইরে এনে দ্রুততার সাথে আইডি কার্ড প্রাপ্তির বিষয়টি খেয়াল রাখা হচ্ছে।

যারা আইডি কার্ড পাচ্ছেন না তাদের কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে থেকেই তথ্যের ত্রুটির কারণে কার্ড আসেনি এবং যারা আইডি কার্ড পাচ্ছেন না তাদের মোবাইল নাম্বার রেখে দেয়া হচ্ছে। তাদের কার্ড যখন ত্রুটিমুক্ত হবে, তখন তাদের মোবাইলে মেসেজ যাবে এবং সেখানে বলা থাকবে কোথা থেকে তাদের আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।

লাইনের জন্য কিসের টাকা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, লাইনের জন্য বা গ্রাহকদের স্মার্ট আইডি কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের টাকা নেয়া হচ্ছে না। তবে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা বা একটার দিকে স্থানীয় কিছু ছেলেপেলে এসে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ৫০ টাকার মতো করে নিয়ে যায় বলে তিনি স্বীকার করেন। পরে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। আজ আর এই ধরনের কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মান্নান হাওলাদারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি গতকালের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ছেলেরা যেন আর এ ধরনের টাকা আদায় করতে না পারে সে জন্য তিনি নিজে আগামী ১৯ নভেম্বর কার্যক্রম শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি সবসময় খোঁজখবর রাখবেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শীতে যেসব খাবার খেলে শিশুরা সুস্থ থাকবে

শীতে ঠিক কোন-কোন নিয়ম মেনে চললে সন্তান দ্রুত সেরে উঠবে?বিস্তারিত পড়ুন

বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন বেবী নাজনীন-জয়া

কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পাচ্ছেনবিস্তারিত পড়ুন

বাগেরহাটে চাষ হচ্ছে ‘নেদারল্যান্ডের লিলিয়াম’

দেশের মাটিতে নতুন সংযোজন লিলিয়াম ফুল। এটি শীতপ্রধান দেশের হলেওবিস্তারিত পড়ুন

  • আন্দোলনে হামলা-হুমকি-র‌্যাগিংসহ বিভিন্ন অপরাধে রাবির ৩৩ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
  • বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে দিল্লি, ঢাকা দ্বিতীয়
  • ঘন কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১
  • ইজতেমায় যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতি
  • উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই
  • গাড়িচাপায় বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ডোপ টেস্টে গ্রেপ্তার দুজন ‘পজিটিভ’
  • সেন্টমার্টিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
  • বিশ্বব্যাংকের ১.১৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
  • সাভারে চলন্ত বাসে ডাকাতি, আহত ৫
  • মেট্রোরেল স্টেশনে ‘র‍্যাপিড পাস’ বিক্রি শুরু
  • আসিফ নজরুল: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৬%
  • স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: ইজতেমার সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন