সড়ক দুর্ঘটনারোধে ব্যর্থতা স্বীকার করলেন সেতুমন্ত্রী
সড়ক দুর্ঘটনারোধে ব্যর্থতা স্বীকার করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে বিভিণ্ন বিষয়ে সফলতা পেলেও দুর্ঘটনা রোধসহ সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে পারিনি। আগের বছরের চেয়ে এ বছর দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও এবারের ঈদেও মৃত্যুর মিছিল দেখা গেছে। দুর্ঘটনায় পাখির মত, মাছির মতো মানুষ মারা গেছে। এত মৃত্যুতে আমি নিজেও অবাক হয়েছি। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে এর ব্যর্থতার দায় আমি এড়াতে পারি না।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। ডিআরইউ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জামাল উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পদাক রাজু আহমেদ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, চালকদের বেপায়োরা গাড়ি চালানো আমরা বন্ধ করতে পারিনি। পরিবহনগুলোতে দক্ষ চালকের চেয়ে অদক্ষ চালকই বেশি। তবে আমরা বসে নেই। দুর্ঘটনা রোধসহ সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। দুর্ঘটনা রোধের এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। দুর্ঘটনাপ্রবণ ১৪৪টি স্পট চিহ্নিত করে সেসব স্থান চওড়াকরণ ও ডিভাডাইডার নির্মাণ করা হচ্ছে বলে তিনি এ সময় জানান। এছাড়া দেশের সকল মহাসড়কে অযান্ত্রিক যান ও কম গতির গাড়ির জন্য আলাদা সার্ভিস লেন করা হবে বলে তিনি জানান।
ট্রাফিক আইন মানার বিষয়ে তিনি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাধারণ মানুষকে আইন মানানো গেলেও অসাধারণ মানুষদের আইন মানানো যায় না। সাধারণ মানুষ তারা ট্রাফিক আইন মানলেও আমরা যারা রাজনীতি করি ও অসাধারণ মানুষ তাদের আইন মানানো দুঃসাধ্য। হেলমেটবিহীন ও ৩ জন নিয়ে কোন বাইকচালককে জিজ্ঞাসা করলে দেখবেন, তারা কোন না কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী। এই আইন না মানার প্রবণতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেহেতু বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এবং ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সুশীল সমাজ, বিরোধী দল ও জনগণের নিকট থেকে আস্থা হারায়নি সে কারণে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা সরকার ভাবছে না।
আগামী নির্বাচনে আসবে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন,
‘রাজনীতির সুস্পষ্ট প্রক্রিয়ায় আগামী নির্বাচনে আসবে বিএনপি।’
সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি প্রার্থিতা করায় বিশ্বাস করি না। আওয়ামী লীগ কোনো দ্বিধাগ্রস্ত দল নয়, সে দলের নেতাকর্মীদের পূর্ণ আস্থা নিয়ে আছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কোনো পত্রিকায় যদি আমার নাম প্রকাশ হয় আমি বিব্রত হই, লজ্জা পাই। এমনকি সেদিন আর সে পত্রিকাটাই পড়ি না। তাই বলবো আমাকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলবেন না।’
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ উল্লেখ মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়। এটা এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। আগামী ডিসেম্বরে পিলারের ওপর স্প্যান দেওয়া হলে এটি আরও দৃশ্যমান হবে। আমরা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর এ সেতু নির্মাণ শেষ করার পথে একদিনও পিছিয়ে নেই। ওই সময়ের মধ্যে শেষ করতে শিডউল অনুযায়ী আমাদের কাজ চলছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন