সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া প্রত্যাখ্যান জাতীয় কমিটির
‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৬’র খসড়া প্রত্যাখ্যান করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। একইসঙ্গে দুর্ঘটনা প্রতিরোধসহ পরিবেশবান্ধব গণমুখী আইন প্রণয়নের দাবিও জানিয়েছে কমিটি।
স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমলাদের দিয়ে প্রণয়ন করা এই আইন (খসড়া) সড়ক নিরাপত্তায় কোনো কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনের নেতারা।
বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্ট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ উত্থাপন করে খসড়া আইনটি প্রত্যাখ্যান করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে।
লিখিত বক্তব্যে আশীষ কুমার দে বলেন, সর্বশেষ প্রণীত খসড়ায় তৎকালীন যোগাযোগ (বর্তমানে সড়ক পরিবহন ও সেতু) মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১৩ ও ২০১১ সালে গঠিত উচ্চপর্যায়ের আলাদা দুটি কমিটির সুপারিশমালা উপেক্ষা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি সম্পর্কিত কোনো বিধান নেই। সড়ক দুর্ঘটনাকে অপরাধ ও দণ্ডবিধিতেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এছাড়া অপরাধের দণ্ডসংশ্লিষ্ট তফসিলে সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত কোনো বিধান নেই। বেপরোয়া বা বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানো সংক্রান্ত কোনো বিধানও রাখা হয়নি। অপরদিকে খসড়ায় সব ধরনের অপরাধ জামিনযোগ্য ও আপসযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আশীষ কুমার লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, দুর্ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হলে চালক কিংবা দায়ী অন্য কোনো ব্যক্তির কী ধরনের শাস্তি হবে, আদৌ শাস্তি হবে কি না অথবা সড়ক দুর্ঘটনা কী ধরনের অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে- সে সম্পর্কে কোনো বিধানই রাখা হয়নি।
খসড়ায় বাদ দেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় কিংবা কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে গাড়ি চালানোয় নিষেধাজ্ঞার বিধান। লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করা হলেও শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন এসএসসি পাশের গণদাবিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী ম ইনামুল হক সড়ক দুর্ঘটনাকে সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া চালক কিংবা দায়ী অন্যদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের, শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধি ও নিহত-আহত পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিধান প্রণয়নের দাবি জানান।
তুসার রেহমান বলেন, স্বার্থান্বেষী কোনো মহল অথবা ক্ষমতাবান কোনো গোষ্ঠী নেপথ্যে থেকে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আমলাদের দিয়ে জনস্বার্থপরিপন্থী ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর উপলব্ধি বিরোধী এই খসড়া তৈরি করিয়েছে বলে আমাদের ধারণা।
হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, এ ধরনের অগ্রহণযোগ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট খসড়া আইন প্রণয়নের সঙ্গে সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুবিধাভোগী এক শ্রেণির কথিত শ্রমিক নেতা ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী বর্ণচোরা আমলারা জড়িত।
জনস্বার্থে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৬ এর খসড়া প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি ২০১৩ ও ২০১১ সালের সুপারিশমালার আলোকে আধুনিক যুগোপযোগী ও জনবান্ধব আইন প্রণয়নের দাবি জানান এই আইনজীবী নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির যুগ্মসম্পাদক সেকেন্দার হায়াত, অর্থসম্পাদক পুষ্পেন রায়সহ আরো অনেকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: চিন্ময় দাসকে নিয়ে ভারতের বিবৃতিতে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীকবিস্তারিত পড়ুন
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন