হজে সুস্থ থাকতে এগুলো মেনে চলুন
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিক এই এবাদত অন্য চারটি স্তম্ভের চেয়ে একটু আলাদা। বিশেষ করে সৌদির উষ্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে বিদেশীদের জন্য হজ পালন কিছুটা কষ্টকরও বটে।
এছাড়া হজে লাখ লাখ লোকের অংশগ্রহণ ও ভিড়ের কারণে আরও কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে।
তাই সুস্থ থেকে সঠিকভাবে হজ সম্পন্ন করতে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত-
প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন
হজ পালনের সময় শারীরিক পরিশ্রম এবং উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ ঘাম ঝরে। এতে পানি শূন্যতার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। এক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। বোতলজাত পানি পান উত্তম। এছাড়া পরিমিত জুসও পান করা যেতে পারে।
পরিমিত খাবার গ্রহণ করুন
হজের সময় পরিমিত খাবার গ্রহণ করুন। অতিভোজন এবং কম খাওয়া দুটোই পরিহার করুন। বদহজম এবং বুক জ্বালা-পোড়া দুটোই অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
এছাড়া খাবারের মেন্যুতে ফল, স্টিম ভেজিটেবল, শাক-সবজি, ময়দার রুটি, দুগ্ধজাত খাবার, কাঁচা বাদাম ও অলিভ অয়েল রাখতে পারেন।
ফুটপাত এবং হকারের খাবার পরিহার করুন
স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে ফুটপাত এবং হকারের কাছ থেকে খাবার ও ফল কেনা পরিহার করুন। কারণ স্বাস্থ্যমান না থাকায় এতে ডায়রিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
একান্ত বাধ্য হলে খাবার কেনার আগে দেখে নিন- হকার এটা পরিষ্কার এবং ভালোভাবে রেখেছে কি না। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে এসব খাবার পরিবেশন করছে কি না। মাংস ঠিকভাবে রান্না হয়েছে কি না এবং ফল ও শাক-সবজি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে কি না তা দেখে নিন।
বিশেষ করে পানির সঙ্গে বরফ মেশাবেন না; এতে করে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সন্দেহ হলে খাবেন না
কোনো খাবারের মান নিয়ে আপনার সন্দেহ হলে তা না খাওয়াই ভালো। যদি মুরগি ভালোভাবে রান্না না হয় এবং পঁচা-বাসি মনে হলে তা পরিহার করুন। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ডায়রিয়া হতে পারে এবং আপনি দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন।
ভালো করে হাত ধুয়ে নিন
সুষ্ঠুভাবে হজ পালনে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেক কাজের আগেই ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। এতে করে জীবাণু মুক্ত থাকা যায় এবং জীবাণু ছড়ানো রোধও করা যায়। খাবার আগে-পরে, প্রশ্রাব-পায়খানার পর এবং ক্ষতস্থান ও নাক পরিষ্কারের পর ভালোভাব হাত ধুয়ে নিতে হবে।
হজের সময় ছোট এক বোতল স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখা ভালো। কারণ, সবসময় কাছাকাছি জায়গায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা মিলবে না। একটি বিষয় অবশ্যই মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত, সেটা হলো- চোখ, নাক ও মুখ থেকে আপনার হাত দূরে রাখুন।
যোগাযোগে ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলুন
হজ পালনের সময় অন্যদের সঙ্গে কোলাকুলি ও করমর্দন যতসম্ভব পরিহার করা যায় ভালো। এমনকি পিঠ চাপড়ানো থেকেও বিরত থাকা উচিত। কারণ, এতে করে নানা ধরনের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
এছাড়া আপনি অসুস্থ হলে অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ আপনার পাশের ব্যক্তির মাঝে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। হাঁচি এবং কাশির সঙ্গে অনেক রোগ-জীবাণু ছড়ায়। তাই আপনার মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন এবং সঙ্গে টিস্যু রাখুন। ব্যবহারের পর সঠিক জায়গায় টিস্যু ফেলুন এবং হাত ধুয়ে নিন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিন এবং ঘুমান
দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি দূর করতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। গোটা রাত ঘুমানোর চেয়ে সুযোগ থাকলে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালনের ফাঁকে ঘুমানো যেতে পারে। এতে শরীর ফুরফুরে থাকবে। সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য অটুট রাখতে সাহায্য করবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন