হঠাৎ ঠান্ডা কাশিতে কী করবেন?
আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন, হঠাৎ ঠান্ডা কিংবা গরম আমাদের শরীরের স্বাভাবিক পিএইচ (PH) এনজাইমসহ অন্যান্য বায়োকেমিক্যাল প্রক্রিয়াকে নষ্ট করে। হঠাৎ ঠান্ডা কাশি গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট তৈরি করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে।
কারণ
ঠান্ডা কাশির ভাইরাসগুলো কম তাপমাত্রা, কম আর্দ্রতায়, পরিবেশের পরিবর্তন সঙ্গে সঙ্গে রোগ সৃষ্টি করে। একশর বেশি ভাইরাস হঠাৎ শ্বাসতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্জক্রমকে নষ্ট করে কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট তৈরি করতে পারে। এর সঠিক চিকিৎসা না হলে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানিসহ নানা জটিলতা তৈরি হয়।
কাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি
* যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, বিশেষ করে শিশু, কিশোর ও বয়স্ক মানুষ।
* যারা বেশিক্ষণ অনেক লোকের সঙ্গে বদ্ধকক্ষে কাজকর্ম করেন।
* আবহাওয়ার পরিবর্তন যারা তাড়াতাড়ি নিজেদের সঙ্গে মানাতে পারে না।
* ডায়াবেটিক, লিভার, কিডনি রোগসহ অন্যান্য রোগে হঠাৎ কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বেশি হয়।
লক্ষণ
* নাক দিয়ে পানি পড়া ও চোখব্যথা।
* নাক বন্ধ হওয়া।
* হাঁচি ও শুকনা কাশি।
* মাথাব্যথা ও ক্লান্ত ভাব অনুভব করা, সঙ্গে শরীর ব্যথা।
* কম তাপমাত্রার জ্বর জ্বর অনুভব করা।
* ক্ষুধা নষ্ট হওয়া।
* কাশতে কাশতে গলা ও বুকব্যথা।
* মাঝেমধ্যে শ্বাস কষ্ট হওয়া।
করণীয়
* নাকে-মুখে টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে হাঁচি-কাশি দেবেন।
* ব্যবহৃত টিস্যু তাড়াতাড়ি নিরাপদ জায়গায় ফেলুন।
* নাক, চোখে হাত দেবেন না।
* আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকুন।
* আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করবেন না।
* কর্মক্ষেত্রে, যাতায়াতে, বেশি লোকের মধ্যে মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করুন।
চিকিৎসা
১. চিকিৎসা নিলেও সাত দিন, চিকিৎসা না নিলেও অন্তত সাত দিন লাগবে সুস্থ হতে। তার মানে বেশির ভাগ ভাইরাসঘটিত ঠান্ডা কাশি কোনো ওষুধ লাগে না।
২. পরিমাণমতো পানি পান, নিয়মিত ভিটামিনযুক্ত খাবার ও পূর্ণ বিশ্রাম নিলে এমনিতে রোগ ভালো হয়ে যাবে।
৩. নাকে-মুখে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।
৪. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসি থেকে কাশির সিরাপ বা অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।
৫. বেশি করে আদা ও লেবুর চা খান।
৬. কুসুম গরম পানিতে সকাল-বিকেল গড়গড়া করুন। এতে শুকনো কাশির ভাব কমবে।
৭. ভাইরাসঘটিত ঠান্ডা কাশি হতে যদি সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শমতে ওষুধ খাবেন।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন