শনিবার, নভেম্বর ১, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

হতবাক করলো ‘ফাঁকা’ শোলাকিয়া

একেতো অঝর ধারায় বৃষ্টি, তার ওপর দুই মাস আগে ঈদুল ফিতরে মাঠের অদূরে জঙ্গি হামলার তিক্ত অভিজ্ঞতা। এসব কারণে ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দানকে অচেনা লেগেছে সবার কাছেই। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দানে মাঠে নামাজ পড়েছেন অল্প কিছু মুসল্লি। তাদের চেয়ে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাই ছিল কয়েকগুণ।

শত বছর ধরেই এই ময়দানে হয়ে আসা ঈদের জামাতে এত কম লোক কখনও দেখেনি কিশোরগঞ্জবাসী। ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহায় লোক সমাগম এমনিতে কিছুই কমই হয়, তাই বলে মাঠ কখনও এতটা ফাঁকা থাকে না।

দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহে নামাজ পড়তে দেশের বিভিন্ন এলাকা তো বটেই দেশের বাইরে থেকেও আসে মুসল্লিরা। সেই পৌনে দুইশ বছর আগে প্রথম জামাতেই সোয়া লাখ লোক হয়েছিল বলেই মাঠের নাম শোলাকিয়া হয়েছে বলে বলা হয়ে থাকে। সেখানে মাঠের এমন চিত্র এবার অবাক করেছে স্থানীয়দের।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই মাঠে গিয়েছেন মুসল্লিরা। এবারের ১৮৯ তম ঈদুল আজহার জামাতে ইমামতি করেন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। জামাত শুরু হয় সকাল ৯ টায়।

তবে গত ঈদে মাঠের কাছে জঙ্গি হামলার প্রভাবেই মাঠ শূন্য ছিল কি না তা অবশ্য বোঝার উপায় নেই। কারণ কিশোরগঞ্জে গত রাত থেকেই প্রবল বর্ষণ হচ্ছিল। মাঠে ছাউনি না থাকায় এই বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে নামাজ পড়া কঠিন। এ কারণে আশেপাশের মসজিদে এবার সকালে মুসল্লিদের ভিড় হয় অন্যান্য বছরের চেয়ে কম।

শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করবেন ভেবে যারা অন্য জেলা থেকে সেখানে নিয়েছিলেন তারা অবশ্য বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নামাজ আদায় করেছেন মাঠে। এই সংখ্যাও এবার ছিল একেবারেই নগন্য। ঈদের দিন মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য যে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয় সেগুলো চলেছে বটে, তবে ছিল প্রায় যাত্রীশূন্য।

শোলাকিয়া মাঠের এমন অবস্থা দেখে একজন মুসল্লি বলেন, ‘ঈদুল আজহায় মানুষের সংখ্যা কম হয় সত্য, কিন্তু এতটা কম হবে, সেটা কল্পনাতেও ছিল না। এর আগেও ঈদের দিন বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এত কম মানুষ এখানে নামাজ পড়েনি কখনও।’

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি আজিমউদ্দিন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোরবানির ঈদে এমনিতেই মুসল্লি কম থাকে। তার ওপর প্রবল বৃষ্টির কারণে এবারও আরও কম মানুষ এসেছে।’

ঈদুল ফিতরে জঙ্গি হামলার অভিজ্ঞতার কারণে এবার শোলাকিয়ায় নেয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা। র‌্যাব-পুলিশ ছাড়াও মাঠে মোতায়েন করা হয় বিজিবি, বসানো হয় সিসি ক্যামেরা। প্রত্যেক মুসল্লিকে তল্লাশি করেই মাঠে ঢুকতে দেয়া হয়।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন সন্ত্রাসী হামলার কারণে এবার জামাতকে নিরাপদ রাখতে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছিল।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্যবিস্তারিত পড়ুন

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের

জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

  • যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭
  • গাজায় অনাহারে ২ শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু
  • যুক্তরাষ্ট্রে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীদের ভিসার মেয়াদ
  • সিগারেটের আগুন থেকে দাবানল, সাইপ্রাসের ১০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল পুড়ে ছাই
  • চবিতে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ-ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ১০
  • রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
  • স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
  • কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
  • স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদের কথা মাথায় রেখেই দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে
  • বিএনপি সুশাসনে ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করে
  • ভাতার ১ম কিস্তি শুরু; গর্ভবতী ভাতার আবেদন শর্ত