হত্যা মামলার আসামী আড়াই মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি, বরং মামলা তুলে নিতে হুমকি..!
গাজীপুরে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী আড়াই মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি। বরং মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন বাদি নিহতের ভাই সেলিম মোল্লা, মা রাজিয়া খাতুন ও স্ত্রী কাজল আক্তার।
এ সময় তারা পলাতক প্রধান আসামীসহ অন্য আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
নিহত এমারত মোল্লা (৩০) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাঘিয়া এলাকার মো. ছাহের মোল্লার ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
স্ত্রী কাজল আক্তার জানান, গত ৬ আগস্ট বিকালে চাচাতো ভাই রতন মোল্লা (২৭) ও ফরিদ মোল্লা (২২) তাঁর স্বামীকে বেড়ানো কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে কড্ডা বাজারে নিয়ে যায়। পরে তারা তিনজনসহ সুজন ও আদিল নামে আরো দু’জন একটি নৌকা ভাড়া করে তুরাগ নদীতে ঘুরতে যায়। কিছুদূর গিয়ে কথাকাটির একপর্যায়ে সুজন, রতন, ফরিদ, আদিল ও অজ্ঞাত নৌকা চালক তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করে হাত পা বেধে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।
রাতে এমারত বাসায় না ফেরায় তারা খোঁজাখুজি শুরু করেন। রতন ও ফরিদের কাছে এ বিষয়ে জ্ঞিাসাবাদ করলে সংলগ্ন কথাবার্তার জন্যে সন্দেহ বশত: তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ আদিলকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পানির স্রোতে ভেসে যাওয়ায় ফেলে দেওয়া স্থানে লাশ পাওয়া যায়নি। একমাস পর ঢাকার আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার বিল থেকে একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে জামাকাপড় ও মোবাইল দেখে তারা লাশটি সনাক্ত করেন। ঘটনার আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও মূল আসামী সুজন ও অজ্ঞাত নৌকা চালককে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনাবাড়ি ফাঁড়ির এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, তিন আসামীকে গ্রেপ্তাতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মায়েরও
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন
গাজীপুরে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩
গাজীপুরে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দিতে গিয়ে পোশাক শ্রমিক জিয়াউর রহমানবিস্তারিত পড়ুন
মা প্রবাসে থাকার সুযোগে প্রতিরাতে সৎ শিশুকন্যার উপর নিপীড়নকারী এক লম্পট পিতা গ্রেফতার
মা প্রবাসে থাকার সুবাদে ১১ বছরের শিশু কন্যাকে অব্যহতভাবে রাতেরবিস্তারিত পড়ুন